কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৮ সালেই মেটার (তৎকালীন ফেইসবুক) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাসিন। ওই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় জাকারবার্গের নাম যোগ করতে চাইলেও আইনি জটিলতায় সেটি করতে পারেননি তিনি।
ওই মামলাটি এখনও চলছে। আর চলমান মামলাটি থেকে উঠে আসা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই জাকারবার্গের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করা হচ্ছে বলে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।
নতুন মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, দুর্বল গোপনতা নীতিমালা তৈরি করে অনুমতি ছাড়া ব্যবহারকারীর ডেটা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে সরবরাহ করার জন্য ‘সরাসরি দায়ী’ জাকারবার্গ। এ ছাড়াও, জাকারবার্গ সময় মতো ব্যবহারকারীদের ওই ঘটনা জানাতে এবং বেহাত হওয়া ডেটা মুছে দেওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
গত বছরে জাকারবার্গের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় যোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও নতুন মামলায় রাসিনের মূল অভিযোগগুলো একই আছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
ঘটনার সূত্রপাত ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজের প্রফেসর অ্যালেক্সান্ডার কোগানের মাধ্যমে। অনুমতি ছাড়াই দুই লাখ ৭০ হাজার ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল প্রতিষ্ঠান ‘এসসিএল গ্রুপ’-কে সরবরাহ করেছিলেন কোগান। ২০১৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
ঘটনাটি ২০১৮ সালে ফাঁস হওয়ার পর জনসমক্ষে এর দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছিলেন জাকারবার্গ।
রাসিনের অভিযোগ, জাকারবার্গ ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছেন; তিনি নিজ প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের ডেটার গোপনীয়তা নিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন এবং গোপনতা লঙ্ঘনের বিষয়টিও চেপে গেছেন।
“জাকারবার্গ কেবল ফেইসবুকের নামমাত্র প্রধান নন; প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বড় সিদ্ধান্তে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত এবং তার প্রভাবের বিষয়টিও গোপন নয়।”
“এমন নজিরবিহীন নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কারণে লাখ লাখ মার্কিনির ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং জাকারবার্গের নীতিমালার মাধ্যমেই ফেইসবুকের অসাধু কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কয়েক বছর ধরে ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়েছে,” এক বিবৃতিতে বলেছেন রাসিন।
“এই মামলা কেবল ন্যায্য নয়, বরং প্রয়োজনীয়। এ মামলাটি প্রধান নির্বাহীসহ কর্পোরেট নেতৃত্বকে স্পষ্ট বার্তা দেবে যে কর্মকাণ্ডের দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে,” যোগ করেন তিনি।