ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লাইন মঙ্গলবার মস্কোকে এ প্রস্তাব দেন বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (বিষয়) হল কৃষ্ণ সাগর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া। রাশিয়ার প্রতি এটি আমাদের আহ্বান।”
এরআগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন রাশিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, রাশিয়া খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা শুধু ইউক্রেইনীয়দের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছানো ‘আটকে’ দেয়নি বরং বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের কাছেও তা পৌঁছাতে দিচ্ছে না।
খাদ্যদ্রব্য আটকে রাখার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।
রাশিয়া এবং ইউক্রেইন মিলে বিশ্বের একতৃতীয়াংশ গমের যোগান দিত। এছাড়া, ইউক্রেইন ভুট্টা, বার্লি, সূর্যমুখী তেল এবং সরিষার তেলের অন্যতম বড় রপ্তানিকারক দেশ।
যুদ্ধের কারণে এখন ইউক্রেইনের খাদ্য রপ্তানি শূন্যের কোটায় নেমে গেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেইনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়াকে শাস্তি দিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর উপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে রাশিয়ার রপ্তানিও অনেক কমে গেছে।
যার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। মূল্যস্ফ্রীতি অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এ অবস্থায় করণীয় খুঁজতে আলোচনায় বসেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। সেখানেই রয়টার্সের সঙ্গে কথা হয় ফন ডার লাইনের।
তিনি বলেন, একটি খাদ্য সংকট পূর্ণ গতিতে এগিয়ে আসছে এবং ইউক্রেইনে আটকে থাকা দুই কোটি টন গম বের করে আনতে মস্কোর সাথে কিছু আলোচনার প্রয়োজন।
‘‘এটা কোনোভাবেই রাশিয়ার স্বার্থে হতে পারে না। রাশিয়ার কারণে বিশ্বজুড়ে মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে।
‘‘আমি মনে করি আমাদের সবার আগে রাশিয়ার সাথে সংলাপের দিকে নজর দেওয়া উচিত, এই গম ইউক্রেইন থেকে বের করে আনার জন্য কোনো চুক্তি করা সম্ভব হয় কিনা।”