বাংলাদেশকে ৩৬৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা শ্রীলঙ্কার দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর। দুই পেসার ভাগ করে নেন ৯ উইকেট, অন্যটি রান আউট।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ২ উইকেটে ১৪৩ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। ওশাদা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ইবাদত। মুমিনুল হক যদি ঠিক সময়ে রিভিউ নিতেন তাহলে গতিময় এই পেসার পেতে পারতেন দিমুথ করুনারত্নের উইকেট। শেষ বেলায় কুসল মেন্ডিসকে এলবিডব্লিউ করেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান।
শ্রীলঙ্কার তিন স্পিনার মিলে ৫৮ ওভার বোলিং করেও প্রথম ইনিংসে পাননি কোনো উইকেট। দ্বিতীয় দিনেও পিচে স্পিনারদের জন্য খুব একটা সহায়তা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে পেসারদেরকেই এগিয়ে আসার কথা বললেন লিটন।
“পেস বোলারদের জন্য উইকেটে সহায়তা আগের দিনও ছিল, আজকেও ছিল। আমি মনে করি না, স্পিনারদের জন্য খুব একটা সহায়তা ছিল। তারপরও আমাদের বোলাররা যথেষ্ট ভালো বল করেছে, স্পিনাররা।”
“আমার মনে হয়, আমাদের যে ফ্রন্টলাইনে দুজন বোলার আছে, তাদেরকে একটু দায়িত্বশীল হতে হবে। কিছু উইকেট নিতে না পারলেও যদি আঁটসাঁট বল করতে পারে… কিছু তো ‘আপ অ্যান্ড ডাউ’ন হবেই, ওই জিনিসের জন্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।”
৯ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন ইবাদত। সমান ওভারে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য খালেদ। তৃতীয় দিন সকালে আর্দ্রতা কাজে লাগানোর সুযোগ পাবেন দুই পেসার। যা প্রথম দুই দিন করেছেন রাজিথা ও আসিথা।
এখনও ২২২ রানে পিছিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। লিটন মনে করেন, বুধবার সকালে দুয়েকটি উইকেট নিতে পারলে পাল্টে যেতে পারে খেলার চিত্র।
“এখনও তারা পিছিয়ে আছে অনেকদূর। মিরপুরের উইকেটই এমন যে, সকালে একটি-দুটি উইকেট দ্রুত নিয়ে নিতে পারলে, অনেকখানি সম্ভাবনা থাকবে। অবশ্যই প্রথম ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ এখানে। তারা যদি আমাদের কাছাকাছি আসে বা পেরিয়ে যায়, তাহলে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাব। যতখানি লিড টানা যায়, এগিয়ে থাকা যায়, ততটা ভালো আমাদের জন্য।”