ক্যাটাগরি

কুমিল্লা সিটি: ভোটের মাঠে হত্যা মামলার ৪ আসামি

চার আসামির তিনজনই সদ্য সাবেক কাউন্সিলর,
তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা। আরেকজন যুবদল নেতা, তিনি ২০১২ সালে
কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। চারজনই কারাগারে ছিলেন। জামিন নিয়ে ভোটে এসেছেন। 

তবে চারজনই দাবি করেছেন, তারা ‘রাজনৈতিক
ষড়যন্ত্রের’ শিকার। 

কুমিল্লা মহানগরীতে ২০১৭ থেকে ২০২০
সালের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও আওয়ামী
লীগকর্মী আক্তার হোসেন হত্যাকাণ্ড ঘটে।

যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী
হত্যা মামলার প্রধান আসমি ২৭ নম্বর ওয়ার্ড
আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসান। তিনি ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এবং এবারও ভোট
করছেন।  

২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর
ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আবদুস সাত্তার ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার
হোসেন এবং জিল্লুর রহমান চৌধুরী- এই দুই হত্যা মামলার আসামি। তিনিও এবার ভোটের ময়দানে
আছেন।

২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর
ও সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদার ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার
হোসেন হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি।

এ ছাড়া ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক
কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগকর্মী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার আসামি।
কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদেও ছিলেন আলমগীর। খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে
তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে যুবলীগ।

আসামিদের মধ্যে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের
আবুল হাসান এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান মজুমদার আপন খালাত ভাই। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের
সাত্তার এই দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

নগরীর বাসিন্দারা মনে করছেন, ভোটে
জিতে নিজেদের রক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠতে পারেন এসব প্রার্থী।

জিল্লুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলা:

যুবলীগকর্মী  জিল্লুর রহমান চৌধুরী ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত
কুমিল্লার সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে লড়ে
পরাজিত হয়েছিলেন।

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২০
সালের ১১ নভেম্বর নগরীর চৌয়ারা এলাকায় জিল্লুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
করে একদল ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী’।

পরদিন জিল্লুরের ভাই ইমরান হোসেন
চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি
হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রধান আসামি করা হয় কুমিল্লা
সিটির কাউন্সিলর আবুল হাসানকে। দুই নম্বর আসামি হিসেবে নাম আসে আবদুস সাত্তারের এবং
চার নম্বর আসামি করা হয় কাউন্সিলর হাসানের খালাত ভাই খলিলুর রহমান মজুমদারকে।

এ মামলায় ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি
সাত্তারকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর কিছুদিন
পরে জামিন নিতে গিয়ে আবেদন নাকচ হওয়ায় কারাগারে যান আবুল হাসান ও খলিলুর রহমান। তারা
প্রত্যেকেই প্রায় ছয় মাস জেল খাটেন।

দোলোয়ার হোসেন হত্যা মামলা:

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন দোলোয়ার হোসেন। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামবক্সি (ভল্লবপুর)
এলাকায় ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে ‘সন্ত্রাসীরা’ মোটরসাইকেলে এসে দেলোয়ারের মাথায়
গুলি করে হত্যা করে।

দেলোয়ার ২০১৭ সালের নির্বাচনে ২৬
নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ভোটে দাঁড়িয়ে জিল্লুর হত্যার আসামি সাত্তারের কাছে
পরাজিত হন।

দেলোয়ার হত্যার পরদিন তার বড় ভাই
মো. শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রধান
আসামি করা হয় রেজাউলকে। ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার আসামি ও রেজাউলের সহযোগী
সদর দক্ষিণ থানার নোয়াগ্রাম গ্রামের আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি দেন। সেখানে দেলোয়ার খুনের ঘটনায় জিল্লুর রহমান হত্যা মামলার আসামি কাউন্সিলর
আবদুস সাত্তারের নাম আসে বলে জানায় পুলিশ।

২০২১ সালে জিল্লুর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার
হয়ে কারাগারে ছিলেন সাত্তার। পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার
হোসেন হত্যা মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখায় আদালত।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন (বায়ে) এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদার (ডানে)।

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন (বায়ে) এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদার (ডানে)।

আক্তার হোসেন হত্যা মামলা:

২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোটবাড়ি সড়কের
চাঙ্গিনি মোড় এলাকায় ২০২০ সালের ১০ জুলাই জুমার নামাজের পর ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগকর্মী
আক্তার হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনসহ
১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রেখা বেগম। এ মামলায় জামিন
নিতে গিয়ে কারাগারে যেতে হয় আলমগীরকে।

দেলোয়ার ও জিল্লুর হত্যা মামলার তদন্ত
করছে পিবিআই। এ প্রসঙ্গে পিবিআই, কুমিল্লা পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন,
“আমাদের তদন্ত একেবারেই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার
অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করতে পারব।”

আর আক্তার হোসেন হত্যা মামলার তদন্তের
দায়িত্বে থাকা সিআইডি জানিয়েছে, তারা তাদের তদন্তকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

মামলার বাদীদের বক্তব্য:

যুবলীগকর্মী  জিল্লুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলার বাদী তার ভাই
ইমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, “সাত্তার, হাসান ও খলিলুরের নেতৃত্বে আমার ভাইকে খুন
করা হয়েছে। তারা এবার নির্বাচনে আবার প্রার্থী হয়ে পেশিশক্তির জোরে কাউন্সিলর হতে চায়।”

ভোট সুষ্ঠু হলে মানুষ উচিত জবাব দেবে
বলে মনে করেন ইমরান চৌধুরী। তিনি বলেন, “মানুষ খুনিদের জনপ্রতিনিধির আসনে দেখতে
চায় না।”

ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হত্যা মামলার
বাদী শাহাদাত হোসেন নয়নও মনে করেন, ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে খুনিদের উপযুক্ত জবাব দেবে।
তিনি বলেন, “২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাত্তার আমার ভাইকে খুন করিয়েছে, এটা
এরই মধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তিনি ছয় মাস জেলও খেটেছেন।”

আওয়ামী লীগকর্মী আক্তার হোসেনের ভাই
যুবলীগ নেতা শাহজালাল আলাল বলেন, “আলমগীরের নেতৃত্বে জুমার নামাজের পর শত শত মানুষের
সামনে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এলাকার মানুষ আলমগীরকে বয়কট করেছে, এবার আমিও কাউন্সিলর
প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছি। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি জামানত হারাবেন।”

শাহজালাল আলাল বলেন, আক্তার হত্যা
মামলার তদন্তে আছে সিআইডি কুমিল্লা। তাদেরও তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে।

এক নজরে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
নির্বাচন

• তফসিল ঘোষণা: ২৫ এপ্রিল

• মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ:
১৭ মে

• মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই: ১৯ মে

• মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ:
২৬ মে

• প্রতীক বরাদ্দ: ২৭ মে

• ভোট গ্রহণ: ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং
মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ১০৫ কেন্দ্রের ৬৪০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে

• নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার
সংখ্যা দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন ও
পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুইজন

আসামিরা যা বললেন

ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন এবং
যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান হত্যা প্রসঙ্গে আসামি আবদুস সাত্তার দাবি করেন, “ছাত্রলীগ
নেতা দেলোয়ার ভাই ছিলেন আমার রাজনৈতিক গুরু। আর জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো শক্রতা
ছিল না।”

তিনি ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার’
উল্লেখ করে সাত্তার বলেন, “এরপরও আওয়ামী লীগের একটি অংশের লোকজন আমাকে পরিকল্পিতভাবে
এই দুটি হত্যাকাণ্ডে জড়িয়েছে।”

যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান হত্যা
মামলার প্রধান আসামি সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসানের দাবি, তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’
ফাঁসানো হয়েছে।

“আমি এ ঘটনায় জড়িত ছিলাম না।
আশা করছি, এবারের নির্বাচনেও মানুষ আমাকেই বেছে নেবে।”

জিল্লুর হত্যা মামলার চার নম্বর আসামি
সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, “জিল্লুর হত্যার
সঙ্গে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই আসামি করা হয়। ভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় এ মামলায়
কারাবরণ করতে হয়েছে আমাকে।”

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হবে বলে
আশা করছেন খলিলুর।

ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগকর্মী আক্তার
হোসেনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা প্রসঙ্গে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর
হোসেন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমি পর পর দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। আমার
পক্ষে কোনো মানুষকে খুন করা সম্ভব?”

সব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’
উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে, তদন্তেই সব
প্রমাণিত হবে। আর ভোটের দিন মানুষ শেষ পর্যন্ত আমাকেই বেছে নেবে।”

‘ভোটারদের সচেতন হতে হবে’

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার
সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম ভোটের মাঠে খুনের আসামিদের প্রসঙ্গে বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে ‘বিচারহীনতার’ কারণে।

“গত ১০-১২ বছরের মধ্যে দেখা
যাচ্ছে, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ অপরাধে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। খুনসহ বিভিন্ন
অপরাধে জড়িত জনপ্রতিনিধিরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম করছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে
পার পেয়ে যাচ্ছেন।”

এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে
প্রার্থীদের হলফানামা প্রকাশে নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দেন এই মানবাধিকার সংগঠক।

তিনি বলেন, “নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী
প্রার্থীরা হলফনামায় তাদের সব তথ্য দিয়ে থাকেন। সেগুলো যাচাই করে নির্বাচন কমিশনের
উচিত জনসম্মুখে তুলে ধরা। তাহলে মানুষ তাদের ভোট কাকে দেবে, সেই বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত
নিতে পারবে সহজে।”

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লার
সভাপতি শাহ মো. আলমগীর খান মনে করেন, ভোটরারা সচেতন হলে বিতর্কিত ব্যক্তিরা জনপ্রতিনিধির
আসনে আসতে পারবেন না।

তিনি বলেন, “দলীয় লোক ছাড়া সাধারণ
ভোটাররা একজন প্রার্থীর সব দিক বিবেচনা করেই ভোট দেবেন। এখন ভোটারদেরই সিদ্ধান্ত নিতে
হবে তারা তাকে নির্বাচনে ভোট দেবেন।”

 

আরও পড়ুন:

সাক্কু-নিজামের
ভোটের প্রচারে যেতে বিএনপিকর্মীদের মানা 
 

 কুমিল্লা
সিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আফজল খানের ছেলে ইমরান
  

কুমিল্লা সিটি
নির্বাচন: সাক্কুর সম্পদ সবচেয়ে বেশি
  

কুমিল্লা সিটি
নির্বাচন: সাক্কুর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে বেশি 
 

কুমিল্লা
সিটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইমরানের প্রার্থিতা বৈধ
  

কুমিল্লা
সিটি: ভোটে লড়তে দলীয় পদ ছাড়লেন বিএনপির কায়সার
  

সাক্কু-রিফাতের
মনোনয়ন বৈধ, আটকে থাকলেন ইমরান
  

রিফাতকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’ হচ্ছে,
অভিযোগ কুমিল্লা আওয়ামী লীগের
  

স্বতন্ত্র
লড়বেন সাক্কু
  

কুমিল্লায়
ভোটের এক মাস আগেই মাঠে বিজিবি
  

কুমিল্লায়
সোহেলের ওয়ার্ডে ভোটের মাঠে মুখোমুখি স্ত্রী ও ভাই
  

কুমিল্লা সিটি
নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র বেড়েছে
  

কুমিল্লা
সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল
  

কুমিল্লা
সিটির প্রশাসকের দায়িত্বে সফিকুল ইসলাম
  

কুসিক
নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র নিলেন সাংসদ সীমা
  

কুমিল্লা সিটি
ভোট: মেয়র পদে আলোচনায় যারা
  

কুমিল্লায় ভোট
কেন্দ্রে-ভোট কক্ষে থাকবে সিসি ক্যামেরা
  

কুমিল্লায়
ভোরের কাগজ সম্পাদকের নামে মেয়র প্রার্থীর মামলা