স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে ৪ হাজার ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩৪
জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ৩১ জন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। আগের
দিন এই হার শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার
২৯৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে মহামারীতে মৃত্যুর মোট সংখ্যা আগের দিনের
মতই ২৯ হাজার ১৩০ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ
হয়ে উঠেছেন আরও ২২৮ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ১ হাজার ৩৮৫ জন সেরে উঠলেন।
নতুন শনাক্ত ৩৪ রোগীর
মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। এছাড়া টাঙ্গাইলের দুইজন, কক্সবাজারের চারজন এবং
ফরিদপুরের একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের
মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের
১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক
দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস
আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত
ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ৬১ লাখ।