ক্যাটাগরি

ফুল, ফল, প্রসাধনী, আসবাব আমদানির খরচ বাড়ল

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
(এনবিআর) মোট
২৪টি এইচএস
কোডের আওতায়
এসব বিদেশি
পণ্য আমাদনিতে
অতিরিক্ত শুল্ক
আরোপের প্রজ্ঞাপন
জারি করে
জানিয়েছে, সোমবার থেকেই নতুন শুল্ক
হার কার্যকর
হবে।

এসব পণ্য আমদানিতে
এতদিন ০
থেকে ৩
শতাংশ নিয়ন্ত্রণ
শুল্ক ছিল।
মহামারী আর
ইউক্রেইন যুদ্ধের
জেরে বিশ্ব
অর্থনীতিতে অস্থিরতার মধ্যে সরকার সতর্ক
অবস্থান নেওয়ায়
নতুন অর্থবছরের
বাজেটের আগেই
এসব পণ্যের
দাম বাড়ার
পথ তৈরি
হল।

সব ধরনে ফুলের
কুড়ি, ফুলে
তোড়া, শুকনো
বা কাঁচা
যে কোনো
ধরনের ফুলের
ওপর ২০
শতাংশ নিয়ন্ত্রণমুলক
শুল্ক আরোপ
করা হয়েছে।

আপেল, আঙুর, লেবুজাতীয়
ফল, কলা,
ডুমুর, আনারস,
পেয়ারা, আম,
অ্যাভোকাডো, তরমুজ, নানা জাতের বাদাম
আমদানিতেও ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক
আরোপ করেছে
এনবিআর।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
এনবিআর বলেছে,
“বাংলাদেশ ফুল ও ফল চাষে
যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী।
উক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক
শুল্ক আরোপের
ফলে দেশীয়
ফুল ও
ফল চাষীরা
ন্যায্যমূল্য পাবে। এবং ফুল ও
ফল চাষে
উৎসাহিত
হবে। এতে
প্রান্তিক চাষিরা লাভবান হবে এবং
আমদানি নির্ভরতা
কমবে।”

একইভাবে শেভিং ক্রিম,
আফটার শেভ
লোশন, সানস্ক্রিন,
চুলে ব্যবহৃত
রঙ বা
বিভিন্ন প্রসাধনী,
পারফিউম ও
বডি স্প্রেসহ
বিভিন্ন প্রসাধনী
সামগ্রী আমদানিতেও
২০ শতাংশ
পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনমূলক
শুল্ক আরোপ
করেছে এনবিআর।

এছাড়া অফিসে বা
বাসায় ব্যবহৃত
ধাতু, কাঠ,
প্লাস্টিক বা বাঁশের তৈরি আসবাব
পত্র বা
আসবাব তৈরির
কাঁচামালেও ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক
আরোপ করে
জাতীয় রাজস্ব
বোর্ড বলেছে,
“বর্তমানে দেশে উৎপাদিত ফার্নিচার ও
কসমেটিকস যথেষ্ট
মানসম্পন্ন এবং দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদা
মেটাতে সক্ষম।”

এসব খাতে নিয়ন্ত্রণমূলক
শুল্ক আরোপের
ফলে বিদেশি
পণ্যের সাথে
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিশীয় শিল্প বিকশিত
হবে এবং
এ ধরনের
পণ্যের ‘অপ্রয়োজনীয়
আমদানি নিরুৎসাহিতকরণের’ মাধ্যমে মূল্যবান
বৈদেশিক মুদ্রা
সাশ্রয় এবং
সরকারের রাজস্ব
আহরণে ইতিবাচক
প্রভাব পড়বে
বলে এনবিআর
আশা করছে।

এতদিন আমদানি পর্যায়ে
তিন হাজার
৪০৮টি পণ্যে
৩ শতাংশ
থেকে ৩৫
শতাংশ পর্যন্ত
নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা আরডি প্রযোজ্য
ছিল। এর
মধ্যে বিলাসবহুল
পণ্য হিসাবে
শ্রেণিবদ্ধ পণ্যে উচ্চ শুল্ক ছিল।