মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার থেকে পৌনে ১০টার মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের গেইটের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদল কর্মীরা সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের গেইট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করার সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাধা দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ছাত্রলীগের জগন্নাথ হল ও এস এম হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রদলের কর্মীরা ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষই ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছু দিন যাবৎ ছাত্রদলের নেতারা ক্যম্পাসের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছিল। সুশৃঙ্খল ক্যম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আজকে তাদের এই কয়েক দিনের নানা ধরনের উসকানির প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আমরা এই প্রতিবাদকে স্বাগত জানাই।”
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেনের অভিযোগ, তাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মীকে আহত করেছে ছাত্রলীগ।
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল থেকে রওনা হই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।”
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, “কিছুদিন আগে ছাত্রদলের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন, এজন্য ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।”
“আজ সকালে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগ থেকে ছাত্রদলের একটি মিছিল শহীদ মিনারে এলে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা পাল্টা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।”