ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের উপর ছাত্রলীগের ‘হামলার’ প্রসঙ্গ টেনে বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক মানববন্ধনে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, “কালকে (মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মাইর খেয়েছে, তার জন্য আমরা মর্মাহত। কিন্তু তাদেরকে সংগ্রামী অভিনন্দন জানাই যে তারা পাল্টা প্রতিরোধ করছে, পাল্টা ওদের মাইর দিছে।
“এখন জায়গায়-অজাগায় যেখানেই হোক, যেখানে আঘাত আসবে সেখানে পাল্টা আঘাত দিতে হবে। এই আঘাত দেওয়ার জন্য আমাদেরকে সশরীরে প্রস্তুত থাকতে হবে। অন্যের হাতে মার খাওয়ার জন্য না, আমাদের মাইর দেওয়ার অভ্যাস করতে হবে।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, “সরকারকে বলব, আপনাদের যত শক্তি আছে, যত মারতে পারেন, আমরা মরার জন্য প্রস্তুত। জেলখানা আমাদের জন্য বিষয়বস্তু না। জেলখাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে, জেলের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না।”
পদ্মা সেতুর উপর থেকে খালেদা জিয়াকে ‘টুস’ করে ফেলে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা দলের এই মানবন্ধন হয়।
গয়েশ্বর বলেন, “আপনি (শেখ হাসিনা) যে কথা বলেছেন, এটা এটেম টু মার্ডার। কারণ আপনি হুকুম ঘোষণা করেছেন। এরজন্য আপনাকে মামলা খেতে হবে। জনগণের আদালতে মামলাটা অবশ্যই গ্রহণ হবে, সেই বিচারটা জনগণের আদালতে হবে, যদি আপনি দেশে থাকেন।”
বিএনপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গয়েশ্বর বলেন, “বাংলা কথা সবাই বোঝে, সেটা চিটাগাংয়ের বাংলা হোক, নোয়াখালীর বাংলা হোক অথবা গোপালগঞ্জের বাংলা হোক। সুতরাং এই বাংলা শব্দ বুঝতে কারও বিভ্রান্ত হওয়ার কথা না।
“আমি দয়া করে বলব, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না। আর সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রাখতে পারবেন, খবর বন্ধ রাখতে পারবেন। কোনো ঘটনা ঘটলে তা বন্ধ রাখার ক্ষমতা আপনাদের হাতে নাই। আপনাদের যেতে হবেই।”
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় এই মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, মহানগর বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী বক্তব্য রাখেন।