ক্যাটাগরি

‘গোপন একটা বিষয় আছে’, গুলিবর্ষণের আগে বার্তা টেক্সাসের তরুণের

নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক কিশোরীকে ১৮ বছর বয়সী রামোস বার্তাটি পাঠিয়েছিলেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে জানা গেছে।

ডেইলি ডট জানিয়েছে, টেক্সাসের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে রামোস বার্তাটি পাঠানোর পর ৭টা ৩৩ মিনিটে উত্তর আসে, কিশোরী প্রশ্ন করে জানতে চায়, সে কী করতে যাচ্ছে?

এর উত্তরে রামোস বলে, “সকাল ১১টার আগে আমি তোমাকে জানাবো।”

‘কী জানাবে’, কিশোরীর এমন প্রশ্নের উত্তরে রামোস জানায়, সে এক ঘণ্টার মধ্যে বার্তা পাঠাবে। উত্তরে কিশোরী ‘ওকে’ বলার পর রামোস বলে, “কিন্তু তোমাকে সাড়া দিতে হবে। গোপন একটা বিষয় আছে। আমি তোমাকে বলতে চাই।”   

এর উত্তরে ওই কিশোরী জানায়, সে অসুস্থ এবং সে ঘুমিয়েও থাকতে পারে, তবে যদি সে জেগে থাকে তবে শুনবে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় ওই কিশোরীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি গণমাধ্যম।

এর ঘণ্টাখানেক পর ৯টা ১৬ মিনিটে পাঠানো রামোসের শেষ বার্তা ছিল, “আমি গুলি করতে যাচ্ছি।”

এরপর গাড়ি নিয়ে সাউথ টেক্সাসের ইউভালডে শহরের রব এলিমেন্টারি স্কুলে কাছে যায় রামোস। সেখানে তার গাড়ি কোনো একটা কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খায়। এরপর সে অনলাইন সেল থেকে সদ্য কেনা একটি হ্যান্ডগান এবং এআর-ফিফটিন সেমি অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে গুলি শুরু করে।

স্কুলটিতে ১৯ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক দুই জনকে গুলি করে হত্যা করে সে, এরপর পুলিশের গুলিতে নিজেও মারা যায়। 

এ হামলার কিছুক্ষণের মধ্যেই রামোসের বলে ধারণা করা একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের স্কিনশট লোকজন শেয়ার করতে শুরু করে। পরে রামোসের ব্যবহৃত ওই অ্যাকাউন্ট মুছে দেয় ইনস্টাগ্রাম।  

ওই কিশোরীকে এসব বার্তা পাঠানোর আগে রামোস দুটি বন্দুকের ছবি পাঠিয়েছিল।

টেক্সাসের স্কুলে ঢুকে গুলি, ১৯ শিশুসহ নিহত ২১

‘গান লবির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে’ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান বাইডেনের
 

পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে রামোস তার দাদির ওপরও গুলি চালিয়েছিল। সে ইউভালডের একটি হাইস্কুলের ছাত্র ছিল, পরে ওয়েনডি’স ফাস্ট ফুড চেইনের একটি শাখায় কাজ শুরু করে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ বছর হওয়ার পর বৈধভাবেই সে কয়েকটি বন্দুক কিনেছিল। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্দুকের ছবিতে ভরা ছিল।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাশ করা টেক্সাসের নতুন একটি আইন অনুযায়ী, যদি সুরক্ষার আদেশ থাকে তাহলে ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীরা বন্দুক কিনতে পারবে, কারণ তারা পারিবারিক সহিংসতা, গোপনে অনুসরণ, পতিতাবৃত্তি বা যৌন উদ্দেশ্যে পাচারের ঝুঁকিতে থাকতে পারে।