হতাশায় এএফসি কাপ মিশন শেষ করে বুধবার দেশে ফিরেছে কিংস। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক হারে আবারও গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার বিষাদ সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নদের।
প্রতিযোগিতাটিতে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছেন দুই ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া ও সুমন রেজা, মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি ও ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান।
৮ জুন মালয়েশিয়ায় শুরু হবে বাছাই। তার আগে ১ জুন ইন্দোনেশিয়ায় একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর জন্য বৃহস্পতিবার দল চূড়ান্ত করবেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। চোট পাওয়া কিংসের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ক্লাবটির সভাপতি ইমরুল হাসান ছেড়ে দিয়েছেন কাবরেরার ওপর।
“দল কিছুক্ষণ আগে ঢাকা পৌঁছেছে। কোচ ও ট্রেনার চোট পাওয়াদেরকে দেখে, পর্যালোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিবেন। এ ব্যাপারে ক্লাবের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তারা যদি সুস্থ থাকে এবং জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করে তাদের নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন, তাহলে তারা দলের সঙ্গে যোগ দিবে।”
এবারই এএফসি কাপে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে কিংস। মোহনবাগানের কাছে হারের চড়া মাশুলই শেষ পর্যন্ত হেড টু হেডের হিসাবে দিতে হয়েছে তাদেরকে। হতাশ হলেও সামনের পথচলা নিয়ে আশাবাদী কিংস সভাপতি।
“স্বাভাবিকভাবে হতাশা তো গ্রাস করবেই। যেহেতু আমাদের প্রত্যাশা ছিল পরের ধাপে যাওয়ার। কিন্তু হতাশা নিয়ে পড়ে থাকলে তো চলবে না। আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে।”
“তিনটা ম্যাচের মধ্যে আমরা দুটিতে জিতেছি, একটিতে হেরেছি। আমি ফুটবল বিশেষজ্ঞ নই, আপনাদের মতোই দর্শক। তবে খালি চোখে আমার যেটা মনে হয়েছে, সেদিন মোহনবাগানের বিপক্ষে আমরা যে হাই-লাইন প্রেসিং খেলেছি, সেটা ঠিক হয়নি।”
কোচ অস্কার ব্রুসনের হাত ধরে মালদ্বীপের গত এএফসি কাপে কোনো ম্যাচ না হারলেও গ্রুপ পর্ব সেবারও পেরুতে পারেনি কিংস। একই ব্যর্থতা পিছু ছাড়ল না এবারও। তবে স্প্যানিশ এই কোচে আস্থা রাখছেন ইমরুল।
“আসলে একটা ম্যাচে খারাপ করেছে বলে কোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আমার মনে হয় এখনও আসেনি।”