ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাইক্রোসফট
স্টোরে স্বয়ংক্রিয় উপায়ে অ্যাপ পুনরুদ্ধারের সুযোগ আপাতত নেই। কম্পিউটার পাল্টালে ব্যবহারকারীকে
একটি একটি করে পুরোনো অ্যাপ ম্যানুয়ালি ইনস্টল করতে হয়। নতুন ফিচারটি এই দৃশ্যপট পাল্টে
দিতে পারে বলে উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে।
“গ্রাহকরা যেন দ্রুত ও নির্বিঘ্নে
নতুন পিসি নিতে পারেন, সে জন্য আমরা শিগগিরই ‘উইন্ডোজ ইনসাইডার’ চ্যানেলে নতুন একটি
ফিচার পরীক্ষা করব।” –বলেছেন মাইক্রোসফট স্টোরের মহাব্যবস্থাপক জোর্জো সারদো।
“এটি গ্রাহকের সেই সব অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে
নতুন উইন্ডোজ ডিভাইসে ফেরাতে সাহায্য করবে, যেগুলো মাইক্রোসফট স্টোরে আগেই ইনস্টলড
হিসেবে তালিকাভূক্ত ছিল।”
“এটি গ্রাহককে পুনরায় অ্যাপ ডাউনলোডের
কথা মনে না করিয়ে দিয়েই গ্রাহক ধরে রাখতে নির্মাতাদের সাহায্য করবে,” যোগ করেন তিনি।
যেসব গ্রাহক কিছুদিন পরপর পিসি পরিবর্তন
করেন বা যেসব অ্যাপ নির্মাতা নিয়মিত ভার্চুয়াল মেশিন ও একাধিক ডিভাইস ব্যবহার করেন,
অ্যাপ ফিরিয়ে আনার ফিচারটি বিশেষ করে তাদের কাজে আসবে। একই কাজের জন্য এতোদিন বিভিন্ন
তৃতীয় পক্ষীয় প্যাকেজ ম্যানেজারের উপর নির্ভর করতে হতো উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের।
নতুন এই অ্যাপ ফেরানো ফিচারটি কতোটা
কার্যকর বুঝতে চাইলে মাইক্রোসফট স্টোরে অ্যাপের সংখ্যা আরও বাড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছে
ভার্জ। গত কয়েক বছরে ফায়ারফক্স, জুম, অ্যাডোবি অ্যাক্রোব্যাট রিডার এবং ওবিএস স্টুডিওর
মতো অ্যাপগুলো যোগ হয়েছে মাইক্রোসফট স্টোরে। এতে অ্যাপস্টোরটি উন্নত হওয়ার ইঙ্গিত
মিললেও, এখনও বহুল ব্যবহৃত অনেক অ্যাপ মাইক্রোসফট স্টোরে মিলছে না।
অ্যাপ সঙ্কট মোকাবেলায় ‘উইন৩২’-এর
অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে ‘অপেক্ষমান’ তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়েছে বলে জানয়েছে ভার্জ। ফলে ২৪
মে থেকেই সকল ডেভেলপারের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছে মাইক্রোসফট স্টোর।
উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপ
অনুসন্ধানের প্রক্রিয়াও আরও সহজ করার চেষ্টা চলছে। ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপের
খোঁজ করলে মাইক্রোসফট স্টোরে থাকা অ্যাপের নাম চলে আসবে উইন্ডোজ সার্চের ফলাফলে।