ক্যাটাগরি

‘সালাম না দেওয়ায়’ মারধর ঢাবির হলে, তদন্তে কমিটি

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সালাম না দেওয়ায় ছাত্রলীগের এক ‘বড় ভাই’ তাকে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি-লাথি
মারেন।

সাজ্জাদুল হক নামে নৃবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীর অভিযোগ রাষ্ট্রবিজ্ঞান
বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মানিকুর রহমানের বিরুদ্ধে। তারা দুজনই হল ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বুধবার সাজ্জাদুল হল প্রাধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে হলের
আবাসিক শিক্ষক আহমদ উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়াকে
একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোতালেব বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের
ভিত্তিতে পরবর্তীতে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”

সাজ্জাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হলের ২৪৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে
মারধর করা হয়।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল রাত ১১টার দিকে আমি আমার
কক্ষে একটি অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত ছিলাম। তখন আমাদের রাজনৈতিক গ্রুপের (ছাত্রলীগ) মাস্টার্সের
কয়েকজন বড় ভাই আমাদের রুমে আসেন। আমি অনলাইন মিটিংয়ে যুক্ত থাকায় উঠে উনাদের সালাম
দিতে পারিনি।

“আমি এবং রুমের বাকি কয়েকজন
সদস্য গেস্টরুম এবং প্রোগ্রামে অনিয়মিত হওয়ায় উনারা রুমে থাকা আমার বাকি বন্ধুদের
বলেন, আমরা যেন ৩২৬ নম্বর কক্ষে শিফট হয়ে আমাদের রুমটা খালি করে দিই। একথা বলেই
উনারা চলে যান।

“বড় ভাইরা চলে যাওয়ার পর মানিক
ভাই এবং আরও কয়েকজন ভাই আমাদের রুমে ঢোকেন। তখনও আমি মিটিংয়ে যুক্ত থাকায় উঠে
উনাদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক এবং সালামও দিতে পারিনি। এরপর মানিক ভাই আমাকে খারাপ
ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। এরপর জুতা নিয়ে আমার বিছানার ওপর উঠে আমার কলার চেপে
ধরে আমাকে বিছানার মধ্যে ফেলে দেয়। পরে মানিক ভাই আমর কান ও মুখে সজোরে থাপ্পড়
দেন, এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন এবং একপর্যায়ে জোরে লাথিও দেন।”

অভিযোগের বিষয়ে মানিককে ফোন করা হলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “মারধর করেছে ব্যাপারটা এরকম না। ওদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এক
পর্যায়ে তারা ধাক্কাধাক্কি করে। পরে আমি দুজনকে ডেকে বিষয়টা মীমাংসা করে দিয়েছি।”