এ
কারণে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসহ বিনোদনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
দখলকারীর
বক্তব্য, স্কুলের মাঠে তাদের দেওয়া জমির বদলে যে জমি দেওয়া হয়েছে তা আবার পুনর্দখলে
নিয়েছে দাতারা। তাই তারা নিজেদের জমিও পুনর্দখল করেছেন।
বিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ জানায়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ
এলাকায় ৯৮ শতাংশ জমিতে ১৯৯৩ সালে শিয়ালকান্দা বহুমুখী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত
হয়। ১৮ জন শিক্ষক এবং ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর এই প্রতিষ্ঠানটি গত বছরও উপজেলায়
এসএসসির ফলাফলে দ্বিতীয় হয়।
জমিদাতা
ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরোধে এই স্কুল মাঠ এখন বেদখল হওয়ার পথে।
স্থানীয়রা
জানান, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জমিদাতা প্রয়াত ফজলুল হক মেম্বার প্রতিবেশী মীর মতিয়ার
রহমান নামে একজনের কাছ থেকে ৩২ শতক জমি নিয়ে স্কুলকে প্রদান করেন। এর বিনিময়ে তিনি
মতিয়ারকে অন্যখানে জমি দেন।
ওই
জমির মধ্যে ১৫ শতাংশ স্কুলের নামে লিখে দেওয়া হলেও ১৭ শতাংশ জমি লিখে দেওয়া হয়নি।
এই ১৭ শতাংশ জমির বদলি হিসেবে যে জমিটি মতিয়ার রহমান দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ভোগদখল করে
আসছিলেন সেই জমি গত বছর পুনরায় দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠাতা জমিতাদার স্বজনরা। ফলে ১৭
শতক জমি না পেয়ে স্কুল মাঠে অবস্থিত রেজিস্ট্রি না করে দেওয়া ১৭ শতাংশ জমি পুনরায়
দখলে নেন মীর মতিয়ার রহমানের ছেলে মীর শাহ আলম।
এ
ব্যাপারে মীর শাহ আলম বলেন, “স্কুলের জমিদাতারা আমার বাবার কাছ থেকে জমি নিয়ে বদলি
হিসেবে যে জমি দিয়েছেন তা লিখে দেননি। ফলে জমিদাতার মৃত্যুর পর তার স্বজনরা সেই
জমি দখলে নিয়েছে। এ নিয়ে স্কুল কর্তপক্ষের কাছে ধরণা দিয়েও জমি না পেয়ে এই কাজ
করতে বাধ্য হয়েছি।”
শিয়ালকান্দা
বহুমুখী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহা. জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, “আমাদের
সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই হঠাৎ স্কুল মাঠের ১৫ শতক জমি নেট দিয়ে ঘেরাও করে
নেয়। সেখানে তারা ৬০টি চারা রোপন করে। দোকানঘর করার জন্য উদ্যোগ নেয়।”
বিষয়টি
সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ
ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বলেন, “একটি পক্ষ উসকানি দিয়ে
এই কাজটি করেছে। আমরা দ্রুত এর সমাধানের চেষ্টা করছি।”
স্থানীয়
ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আব্দুস সালাম বলেন, “দেয়ালে পীঠ ঠেকে
যাওয়ায় এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। যারা দখল করেছে তারা ১৭ শতক জমি পাবেন।
তাদেরকে জমি বুঝিয়ে দিলে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না। এর জন্য স্কুল কর্তপক্ষের
গাফিলতি রয়েছে।”
কুড়িগ্রাম
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম বলেন, স্কুলের জমি সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে
তা সমাধানে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে মাঠের পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।