ক্যাটাগরি

প্রবাসীদের তথ্য সহায়তা দিতে অ্যাপ বানাচ্ছে চট্টগ্রাম ডিইএমও

আগামী
সেপ্টেম্বর থেকে গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা ও জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানটি এই অ্যাপ তৈরি করবে। পরে নিজস্ব লোকজন দিয়ে সেটির তথ্য হালনাগাদসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পিপিপির মাধ্যমে অ্যাপের
খরচ সংগ্রহ করা হবে।”

জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ‘হ্যালো ডিইএমও’ অ্যাপ থেকে প্রবাসীরা অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। পাশাপাশি ভিসা যাচাইয়ের ব্যবস্থা এবং রিক্রুটিং অ্যাজেন্সিসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানেরও তথ্য পাবেন।

“এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা তাদের প্রাপ্য সুবিধা, বিমানবন্দরের তথ্য ও সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে
পারবেন। পাশাপাশি দেশ অনুসারে প্রবাসীদের ডেটাবেজ, কত জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন, কত জন গিয়েছেন- সবই এই অ্যাপ ব্যবহার করে জানতে পারবেন।”  

উপ-পরিচালক জহিরুল জানান, প্রবাসীদের জন্য দরকারি কিছু দপ্তরের সংযুক্তিও থাকবে এই অ্যাপে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য প্রবাসীরা জানতে পারবেন, আর প্রবাসীদের বিষয়েও দপ্তরগুলো তথ্য নিতে পারবে।

অ্যাপটিতে ইউজার অ্যাকাউন্ট করে একটি পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে একবারই একজন প্রবাসী তার প্রোফাইলের তথ্য এন্ট্রি করতে পারবেন। ছবি, ভিসা, পাসপোর্টসহ যাবতীয় নথিও স্ক্যান করে যুক্ত করে রাখা যাবে অ্যাকাউন্টের
সঙ্গে।

উপ-পরিচালক জহিরুল আলম বলেন, প্রবাসীদের পূরণ করা তথ্য জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর অ্যাপের ডেটাবেজে যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে কোন দেশে কতজন প্রবাসী আছেন, সে বিষয়েও ধারণা
পাওয়া যাবে।

জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ের প্রধান জানান, এই অ্যাপের মাধ্যমে রিক্রুটিং অ্যাজেন্সিগুলো বিদেশ যেতে আগ্রহীদের ফাইল যাচাইয়ের জন্য ডিইএমওতে পাঠাতে পারবে এবং ডিইএমও কর্তৃপক্ষ ফাইলগুলোর যাচাই করে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) দেবে।

পাশাপাশি রিক্রটিং এজেন্সি থেকে পাঠানো কয়টি ফাইল অনুমোদিত হয়েছে এবং কয়টি অনুমোদন পায়নি, সেটাও যাচাই করে দেখা যাবে বলে জানান তিনি।

জহিরুল আলম বলেন, এই অ্যাপে বিমানবন্দর, রিক্রুটিং এজেন্সি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি সংযুক্তি থাকবে। থাকবে বিভিন্ন কল সেন্টারের ফোন নম্বর। প্রবাসীরা তাদের সমস্যা সমাধানে ওই নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে পারবেন।