বিবিসি জানিয়েছে, এরইমধ্যে আইনের খসড়াও তৈরি করেছে দেশটি।
প্রতি মাসে পিরিয়ডের সময় তিন দিন ছুটির সুবিধা দেওয়া হবে এ আইনে। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়
এই ছুটি পাঁচ দিনও হতে পারে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যমে ইতোমধ্যে ওই খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। তবে
দেশটির আইনপ্রণেতারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ বাকি আছে।
স্পেনের পার্লামেন্ট এ আইন পাস করলে তা হবে পুরো ইউরোপেই প্রথম।
প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সংস্কার নিয়ে বড় পরিসরে কাজ করছে দেশটি। গর্ভপাত আইন
সংশোধন করার বিষয়টিও আসতে পারে সেখানে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খসড়া অনুসারে,
যারা অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যান মাসিকের দিনে, চিকিৎসকের পরামর্শপত্র
দেখিয়ে তারা তিন দিনের ছুটি নিতে পারবেন। পরিস্থিতি খারাপ হলে ছুটি বাড়িয়ে পাঁচ
দিনও করা হতে পারে। তবে মৃদু অস্বস্তির জন্য ছুটি মিলবে না।
ট্যাম্পন ট্যাক্সসহ মাসিক স্বাস্থ্যের
বিভিন্ন পণ্য থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়ার দাবিও উঠছে স্পেনে। বলা হচ্ছে, স্কুল,
কারাগারসহ গণপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মাসিকের পণ্য বিনামূল্যে পাওয়ার সুবিধা চালু করা
উচিত।
স্পেনের ওই আইনের খসড়ায় সন্তান প্রসবের আগেও সবেতন
মাতৃত্বকালীন ছুটির সুবিধা রাখা হয়েছে। ওই খসড়া তৈরি করেছেন স্পেনের ইকুয়ালিটি
মন্ত্রী আইরিন মনটেরো।
গর্ভপাতে কড়াকড়ি আরোপ করে ২০১৫ সালে যে আইন
করা হয়েছিল, তার কিছু ধারা শিথিল করা হতে পারে এবার। ১৬-১৭ বছরের কেউ গর্ভপাত
করাতে চাইলে বাবা-মা বা অভিভাবকের অনুমতির বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হতে পারে আইন
সংশোধনে।