আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে বুধবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স
বেঙ্গালোরের হয়ে ইনিংস শুরু করে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৯ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন পাতিদার।
২০ ওভারের ক্রিকেটে ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি এটিই।
শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ১১২ রানে অপরাজিত
থাকেন তিনি। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বেঙ্গালোর ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে
করে ২০৭ রান।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম ১৩ বলে পাতিদারের রান ছিল
১৪। পরের চার বলেই তুলে ফেলেন ১৮ রান; ক্রুনাল পান্ডিয়ার টানা চার বলে মারেন তিনটি
চার ও একটি ছক্কা।
এক প্রান্তে ফাফ দু প্লেসি (০), বিরাট কোহলি (২৫), গ্লেন
ম্যাক্সওয়েল (৯) বিদায় নিলেও পাতিদার এগিয়ে যান আপন দ্যুতিতে। ২৮ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি।
ষোড়শ ওভারে ঝড় বয়ে যায় রবি বিষ্ণইয়ের ওপর দিয়ে। এই লেগ
স্পিনারের টানা পাঁচ বলে তিনটি ছক্কার সঙ্গে দুটি চার মারেন পাতিদার।
অথচ ওই ওভারে একটি ছক্কার পরই আউট হতে পারতেন তিনি। কিন্তু
সহজ ক্যাচ ফেলেন দিপক হুডা।
তখন পাতিদারের রান ছিল ৭২। ৯৩ রানে আরেক দফা তার ক্যাচ
নিতে পারেননি মানান ভোহরা। মোহসিন খানের সেই বলে ডাবল নেওয়ার পরই ছক্কা হাঁকিয়ে তিন
অঙ্ক স্পর্শ করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ছাড়িয়ে যান টি-টোয়েন্টিতে তার আগের সর্বোচ্চ
৯৬ রান।
শেষের আগের ওভারে তিনি পরপর ছক্কা-চার মারেন শ্রীলঙ্কান
পেসার দুশমন্থ চামিরাকে। শেষ ওভারে অবশ্য একটির বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি।
২৩ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন দিনেশ কার্তিক।
পাতিদারের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৯২ রান আসে স্রেফ ৪১ বলে। বেঙ্গালোর
শেষ পাঁচ ওভারে তোলে ৮৪ রান!