ক্যাটাগরি

রৌমারীতে মা-শিশু হত্যারহস্য উদঘাটনের দাবি র‌্যাবের

বুধবার দুপুরে রৌমারী অফিসার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ ঘটনার বর্ণনা দেন জামালপুর র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডর স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

গত শনিবার [২১ মে] সকালে রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর এলাকায় ধান ক্ষেতে ২৭ বছর বয়সী এক নারী ও তার পাঁচ মাস বয়সী ছেলেকে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা মারা যান, ছেলের মৃত্যু আগেই হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা রৌমারী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তাররা হলেন নিহত গৃহবধূর ভাসুর চান মিয়া (৪৩) ও কথিত উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জফিয়াল (২৮)।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন চান মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন জাকির হোসেন ওরফে জফিয়াল। পারিবারিক কলহের জেড়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।

র‌্যাব কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মা ও শিশু হত্যায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও ঘটনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জাকির হোসেন জফিয়ালকে শনাক্ত করে র‌্যাব। এরপর ট্র্যাকিং করে জামালপুরের বকসীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে চান মিয়াকে রৌমারীর শৌলমারী এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

ঘটনার বিবরণে স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন ভিকটিম গৃহবধূ তার অসুস্থ ৫ মাস বয়সী ছেলেকে কুড়িগ্রামে ডাক্তার দেখানোর পর রৌমারী ফিরছিলেন। পথে রৌমারী বাজার থেকে ওষুধপত্র ও একটি ফ্লাস্ক কিনে শ্বশুরবাড়ি যান। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামে যাওয়ার পথে আব্দুর সবুর মিয়ার পুকুরের পূর্ব পাড়ে ওঁৎপেতে থাকা চান মিয়া ও জাকির হোসেন হাফসা তাদের আটক করেন। এরপর এখানে তাদের গলা কেটে রেখে যান।

শিশুটি সঙ্গে সঙ্গে মারা গেলেও গৃহবধূকে প্রথমে রৌমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়; পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।”

পারিবারিক কলহের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে আটকদের বরাতে এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১৪ এর সিপিসি-১ এর জামালপুর ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডর এএসপি এমএম সবুজ রানা। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাবের হাতে আটক ওই ব্যক্তিকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান রৌমারী থানার ওসি মো. মুন্তাছের বিল্লাহ।