গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার রাজস্ব
আদায় হয়েছে। এই ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
১০ মাসের আদায় গত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি
টাকা বা ১৫ শতাংশ বেশি।
তবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৩
লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। সে তুলনায় ৩১ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে।
রাজস্ব বোর্ডের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আদায়ের এই চিত্র দেখা গেছে।
গত অর্থ বছরের মতো এবারও ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য
নিয়েছিল এনবিআর। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর হানায় শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি
টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছিল। অর্থাৎ গত অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায়
ঘাটতি ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
এবারও আদায়ে পিছিয়ে থেকে শেষ সময়ে এসে তা ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকায়
নামিয়ে আনা হয়।
চলতি অর্থবছরেও সেই ঘাটতি দিকেই যাচ্ছে-প্রশ্ন করা হলে এনবিআরের
সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোভিড
মহামারীর প্রভাব থেকে দেশের অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। কিন্তু
এরমধ্যে যে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে, তা কিন্তু মন্দ নয়।”
এবছর আমদানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। তবে
ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মধ্যে অর্থবছরের শেষে এসে আমদানিতে
লাগাম টেনেছে সরকার।
মজিদ বলেন, সার্বিকভাবে প্রত্যক্ষ করের উপর গুরুত্ব দিয়ে রাজস্ব
বাড়ানোর কৌশল নেওয়া উচিৎ।
এনবিআরের সর্বশেষ সাময়িক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০
মাসে সবচেয়ে বেশি ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে কাস্টমস বা আমদানি খাতে। এ খাতে আদায়
হয়েছে ৭৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আদায় ছিল ৬১ হাজার ১৩১
কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের আলোচ্য সময়ে ভ্যাট বা মুসক খাতে আদায় হয়েছে মোট ৮৪
হাজার ৮৯৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ
বেশি। এই খাতে গত অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল প্রায় ৭৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী অর্থবছরের গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত আয়কর
খাতে মোট আদায় হয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের দশ মাসের এই আদায় গত অর্থবছরের
একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের ১০ মাসে এই খাত থেকে আদায়
হয়েছিল প্রায় ৫৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।