নির্ধারিত শর্ত মেনে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ এই আবেদন দিতে বৃহস্পতিবার
গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশে নির্বাচনে দলীয় পরিচয়ে অংশ নিতে চাইলে ইসিতে নিবন্ধিত হতে
হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৩৯টি। এগুলোই শুধু দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে পারে।
ইসিতে নিবন্ধিত না হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে কোনো বাধা না
থাকলেও ভোটে অংশ নেওয়া যায় না। নিবন্ধনহীন দলের কেউ ভোটে অংশ নিতে চাইলে স্বতন্ত্র
প্রার্থী হওয়া ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।
সিইসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
গণসংহতি আন্দোলন ও বাংলাদেশ জাসদসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের অপেক্ষায়
রয়েছে।
তাদের ৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হবে।
সেই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী তিনটি শর্তের একটি পূরণ করতে
হবে।
এর মধ্যে রয়েছে- দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের
কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি
উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল
থাকতে হবে।
বাকি দুটি শর্ত হল- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের
আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকা কিংবা যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের
প্রার্থী অংশ নেওয়া আসনগুলোয় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ প্রাপ্তি।
তবে এ দুটি শর্ত পূরণ করার মতো নতুন কোনো দল এখন আর নেই বললেই চলে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন দলের আবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে
দলিলপত্র ও মাঠ পর্যায়ের তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ে আরও কয়েক মাস লাগবে। সবকিছু শেষ
করে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করা সম্ভবপর হতে পারে।
২০২৩ সালে নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ
নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন
ইসি।
২০০৮ সালে দল নিবন্ধন চালু হলে ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। পরবর্তীকালে এ
সংখ্যাটি ৪৪টিতে উন্নীত হয়।
কিন্তু শর্ত পূরণে ব্যর্থ ও আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে
ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন পরে বাতিল
করা হয়।