সৌদি আরবের
অংশের ‘খরচ বেড়ে যাওয়ার’ কারণেই বাংলাদেশের হজযাত্রীদের এই বাড়তি টাকা দিতে বলে ধর্ম
প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন।
৫৯ হাজার
টাকা খরচ বাড়ার ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর খরচ বেড়ে হচ্ছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার
৩৪০ টাকা। প্যাকেজ-২ এ খরচ পড়বে জনপ্রতি ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আগের ঘোষণায় সৌদি আরব
অংশের মূল্য অনুমান করে ধরা হয়েছিল। এখন সৌদি সরকার তাদের অংশ জানিয়েছে। এ কারণে
হজের মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।”
কোভিড মহামারীর
সংক্রমণ কমে আসায় দু বছর বাদে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন আর বেসরকারি
ব্যবস্থাপনার ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন এবার হজে যেতে পারবেন এবার।
গত ১১ মে
সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো.
ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের বলেছিলেন, সরকারিভাবে হজে যেতে প্রথম প্যাকেজে এ খরচ হবে
৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।
এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের জন্য জনপ্রতি খরচ
৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা ঠিক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, কোরবানির জন্য প্রত্যেক হজযাত্রীকে ৪১০ সৌদি রিয়ালের সম পরিমাণ
১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা আলাদাভাবে সঙ্গে নিতে হবে।
এর আগে
২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই বছরের জন্য হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হলেও কোভিড মহামারীর
কারণে ওই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।
২০২০ সালে
সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম প্যাকেজে সর্বমোট ৪
লাখ ২৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয়টিতে তিন লাখ ৬০ হাজার এবং প্যাকেজ-৩ এ তিন লাখ ১৫ হাজার
টাকা খরচ ধরা হয়। আর বেসরকারি প্যাকেজে তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া
হয়েছিল।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ৮ জুলাই হজ হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে এবার হজ ফ্লাইট ৩১ মে শুরুর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু
সৌদি আরবে প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় ৫ জুন তা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
পুরনো খবর:
প্যাকেজ ২: হজের নিবন্ধনে আরও দুদিন সময়
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে লাগবে অন্তত ৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা