রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানান, বুধবার মাঝরাতে থানায় তিনি এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- প্রকৌশলী আশ্রাফুর রহিম এবং প্রকৌশলী আজিজার রহমান।
এর মধ্যে আশ্রাফুর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ সার্ভিস
লিমিটেডের (বিএসএল) চিফ অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পদে আছেন। আজিজার আছেন প্ল্যানিং
অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবস্থাপক হিসাবে।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের ছাদ থেকে পড়ে প্রকৌশলীর মৃত্যু
সরকারি
কোম্পানি বিএসএল এর মালিকানায় থাকা এ তারকা হোটেল পরিচালনা করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল
হোটেলস গ্রুপ (এশিয়া প্যাসিফিক) (আইএইচজি)।
ইন্টারকন্টিনেন্টালের লবির ছাদ থেকে বুধবার ৫২ বছর বয়সী প্রকৌশলীর সুব্রতর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ
ঘটনায় স্ত্রী নুপুর সাহা অভিযোগ করেন তার স্বামীকে
বিএসএল কর্তৃপক্ষ মানসিক চাপের মধ্যে রেখেছিল। অফিসের ‘কাজের চাপে’ তিনি এক ধরনের ‘অস্থিরতার’ মধ্যে থাকতেন।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলায় দুই প্রকৌশলীর নাম উল্লেখ
করে তারা অন্যের সহায়তায় সুব্রত সাহাকে হত্যা করে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করা হয়।”
তিনি জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু
করেছে।
মামলার এজাহারে ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা আশ্রাফুর ও আজিজার রহমানের
নাম উল্লেখ করে বলা হয় তাদের সঙ্গে কাজকর্ম নিয়ে সুব্রত সাহার বিরোধ চলে আসছিল।
সুব্রত সাহা
তারা দুজন অফিসের অজ্ঞাত অন্যান্য ব্যক্তিদের সহায়তা সুব্রতকে পূর্ব
শত্রুতার জের ধরে হত্যা করে থাকতে পারে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আসামিদের গ্রেপ্তার এবং জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওসি
বলেন, “তদন্তের প্রয়োজনে
যা যা করা দরকার তাই করা হবে।”
পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখেছেন
সুব্রত সাহা সকাল সোয়া ৯টার দিকে হোটেলে প্রবেশ করেই সরাসরি লিফটে করে টপ ফ্লোরে
চলে যান।
বেলা ১১টার দিকে হোটেলের লবির ছাদ পরিস্কার করতে গিয়ে সুব্রতর মৃতদেহ
উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালে খবর পেয়ে
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।