‘হোয়াইট ফার্নস’
বলে পরিচিতি নিউ জিল্যান্ডের মেয়েদের দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা ক্রিকেটার স্যাটার্থওয়েট,
রান সংগ্রহের তালিকায় আছেন তিনি দুইয়ে। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তরুণদের গড়ে তোলার
জন্য তাকে এবার চুক্তিতে রাখা হবে না বলে জানায় ক্রিকেট নিউ জিল্যান্ড। এরপরই বিদায়ের
কথা জানালেন ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
এভাবে বিদায় বলতে
হওয়ায় নিজের হতাশাটা লুকাননি স্যাটার্থওয়েট।
“ভারাক্রান্ত হৃদয়েই
আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট নতুন পথে
এগোচ্ছে এবং তরুণ কয়েকজন ক্রিকেটারকে চুক্তিতে আনছে জানার পর থেকে আমার জন্য গত কিছুদিন
ছিল খুবই কঠিন।”
“চুক্তিতে থাকতে
না পারায় আমি হতাশ, কারণ আমার এখনও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। তবে আমি বোর্ডের সিদ্ধান্তকে
সম্মান করি ও হোয়াইট ফার্নসকে শুভ কামনা জানাই। সবসময় তাদের সমর্থক হয়েই রইব।”
দেশের মাঠে এবার
ওয়ানডে বিশ্বকাপ খুব ভালো কাটেনি স্যাটার্থওয়েটের। চোটের কারণে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি।
ভারতের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হলেও বাকি ৫ ইনিংসে ছুঁতে পারেননি ফিফটি।
তবে এখনই তাকে
চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হবে, ভাবতেও পারেননি স্যাটার্থওয়েট।
“অনেকটা আচমকাই
এ সিদ্ধান্ত এসেছে এবং আমার জন্য বড় ধাক্কাও। আগে থেকে আমাকে কোনো আভাস দেওয়া হয়নি
যে তারা এই পথে এগোবে। জানার পর আমি একদম ভেঙে পড়েছিলাম… গত কয়েকদিন ধরে এটা হজম করা
এবং এই বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা ছিল খুব কঠিন ও আবেগময়।”
২০০৭ সালের জুলাইয়ে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক স্যাটার্থওয়েটের। শুরুতে পায়ের নিচে
জমিন খুঁজে পেতে অনেকটা সময় লাগলেও পরে তিনি ক্রমে হয়ে ওঠেন দলের ব্যাটিংয়ে ভরসা। সব
মিলিয়ে ১৪৫ ওয়ানডে খেলে ৭ সেঞ্চুরিতে তার রান ৩৮.৩৩ গড়ে ৪ হাজার ৬৩৯। তার রান ও সেঞ্চুরি,
দুটিই দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
টি-টোয়েন্টিতে
১১১ ম্যাচে বাঁহাতি এই ব্যাটারের রান ১ হাজার ৭৮৪। পাশপাশি অফ স্পিনে ওয়ানডে উইকেট
আছে ৫০টি, টি-টোয়েন্টিতে ২৬টি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে
বিদায় বললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্যান্টারবুরি ম্যাজিশিয়ানসের হয়ে খেলে যাবেন তিনি। ইংল্যান্ডের
দা হানড্রেড-এ খেলবেন ম্যানচেস্টার অরিজিনালসের হয়ে।