সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, রোববার থেকে সর্বোচ্চ আদালত এলাকায় নিরাপত্তা কড়াকড়ি বাড়বে।
পূর্ব
ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাই কোর্ট
এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। সেখান থেকে তারা দোয়েল চত্বরের দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগের
সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হাই কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে।
ধাওয়া খেয়ে
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরে আবার
হাই কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। সেখানেও তাদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী আহত হন বলে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।
এ সময় কোর্ট এলাকায় থাকা বিএনপির সাবেক নেতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকারের গাড়ির পেছনের অংশ ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তৈমুর বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ তাৎক্ষণিকভাবে আমার গাড়িতে হামলা করেছে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমার গাড়ির পেছনের সম্পূর্ণ গ্লাস ভেঙে গেছে।
“আমি কার কাছে বিচার চাইব। বিচার চেয়ে লাভ নেই। এ দেশে বিচার নেই।”
সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বহিরাগতদের হামলা, সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে দুপুরেই তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
ভাঙা গাড়ির পাশে তৈমুর আলম খন্দকার
এসব ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো.
বজলুর রহমান, রমনা অঞ্চলের ডিসি,
আপিল ও হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,
“সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। গেটগুলোতে আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আদালত অঙ্গনে যাতে কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”