বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ মো. জুলফিকার হোসাইন রনির আদালতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাফিজ মাহবুব এ মামলা করেন।
বাদীর আইনজীবী শামীম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন।
মামলায় জিএম কাদের ছাড়াও জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুসারে দলের পদে আসতে হলে তা আসতে হবে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। কিন্তু জিএম কাদেরের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে উত্তর না পেয়ে ২০১৯ সালে হাই কোর্টে রিট করেছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. জহির উদ্দিন।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
এছাড়া গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। যা অবৈধ বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে তাৎক্ষণিকভাবে বিবাদীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরশাদের মৃত্যুর পর ছোট ভাই জি এম কাদের দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আগেই চেয়ারম্যানের আসনে বসলে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিতে দ্বন্দ্বে জড়ান ভাবি রওশনের সঙ্গে।
তখন রওশনের নেতৃত্বে আলাদা কমিটির ঘোষণাও এসেছিল। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর চেয়ারম্যানের পদে থাকলেও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদটি রওশনকে ছেড়ে দিতে হয় কাদেরকে।
এরপর ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির নবম কাউন্সিলে জি এম কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন
জাতীয় পার্টিতে জি এম কাদেরের নেতৃত্ব নিয়ে হাই কোর্টের প্রশ্ন
জাপায় জি এম কাদেরের ‘শেষ’ দেখছেন বিদিশা
জাতীয় পার্টিতে কোন দিশা খুঁজছেন বিদিশা?