চতুর্থ দিন বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৫ শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১১৯ ওভারে ৩৪৪/৫ |
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন চান্দিমাল
দলকে উইকেট এনে দিতে নিজেই বল হাতে তুলে নেন মুমিনুল হক। প্রথম ওভারে প্রায় সাফল্য পেয়েই গিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু রিভিউ নিয়ে টিকে যান দিনেশ চান্দিমাল।
পানি-পানের বিরতিতে পর প্রথম ওভারেই আক্রমণে আসেন মুমিনুল। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেন তিনি। তার বাঁহাতি স্পিন পা বাড়িয়ে খেলেন চান্দিমাল। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বল ব্যাটের খুব কাছ ঘেঁষে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে।
জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিতে দেরি করেননি চান্দিমাল। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটে স্পর্শ করেনি বল। বেঁচে যান ৪৩ রানে থাকা লঙ্কান ব্যাটসম্যান।
হতাশার প্রথম ঘণ্টা
যে লক্ষ্য নিয়ে দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ, প্রথম ঘণ্টায় পূরণ হয়নি তার একবিন্দুও। শ্রীলঙ্কার একটি উইকেটও এখন পর্যন্ত নিতে পারেনি তারা। উল্টো স্বাগতিকদের হতাশ করে দ্রুত রান তুলে নিজেদের লক্ষ্যের দিকে খুব ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় খেলা হয়েছে ১৮ ওভার। এই সময় কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৬ রান তুলেছে সফরকারীরা।
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। সেঞ্চুরিতে চোখ রেখে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৮২ রানে খেলছেন ম্যাথিউস। ফিফটির দুয়ারে থাকা চান্দিমালের রান এক ছক্কা ও চারটি চারে ৪২।
১১৫ ওভার শেষে লঙ্কানদের রান ৫ উইকেটে ৩৩৮। বাংলাদেশ থেকে আর স্রেফ ২৭ রান পিছিয়ে তারা।
ম্যাথিউস-চান্দিমালের জুটির পঞ্চাশ
লিডের পথে দলকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল। তাদের জুটি এরই মধ্যে স্পর্শ করছে ফিফটি, ১১৫ বল।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে এটি তৃতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
জুটিতে ম্যাথিউসের অবদান ২৫ রান, চান্দিমালের ২৭।
শ্রীলঙ্কার ৩০০
দিনেশ চান্দিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের জুটিতে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মোসাদ্দেক হোসেনের করা ১০১তম ওভারেই ৩০০ রান স্পর্শ করল সফরকারীরা, ৬০৬ বলে।
এক ওভারেই শেষ মোসাদ্দেকের বোলিং
লম্বা সময় অপেক্ষার পর বল হাতে পেয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে তার বোলিং শেষ হয়ে গেল এক ওভারেই। মূলত বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও পেসার ইবাদত হোসেনের প্রান্ত বদল করতেই তাকে বোলিংয়ে এনেছিলেন মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় দিন শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরুর দিকে মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
নবম ওভারে দুটি চার হজম করেছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। পরের ওভারে ফিরে হজম করেন আরেকটি চার।
এরপর আর তাকে বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক। তৃতীয় দিন করাননি একটি ওভারও। চতুর্থ দিনে ১০১তম ওভার করতে এসে মোসাদ্দেক দেন ৩ রান।
শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য দ্রুত রান, বাংলাদেশের উইকেট
ফিফটি করে অপরাজিত আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার সঙ্গী অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল। হাতে এখনও ৫ উইকেট। লিড নেওয়ার পথে ভালো অবস্থানেই আছে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন দ্রুত রান তোলায় চোখ রাখবে সফরকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ চাইবে দ্রুত উইকেট।
বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিন শ্রীলঙ্কা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে। স্বাগতিকদের চেয়ে তার এখনও পিছিয়ে ৮৩ রানে।
চারটি চার ও এক ছক্কায় ১৫৩ বল খেলা ম্যাথিউস অপরাজিত আছেন ৫৮ রান নিয়ে। তার সঙ্গে খেলছেন চান্দিমাল। ২৯ বলে এক চারে তার রান ১০।
বুধবার দিনের খেলা শেষে লঙ্কানদের সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ শোনালেন তাদের বৃহস্পতিবার দিনের পরিকল্পনা।
“আমাদের লক্ষ্য সেদিকেই (লিড নেওয়া)। তবে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে আমাদের। এখনও ৯০-৯৫ (আসলে ৮৩) রান পেছনে আমরা। চতুর্থ দিনের উইকেটে এটা অনেক রান। আমাদের প্রয়োজন, খুব বেশি উইকেট না হারিয়ে আরও একটি সেশন কাটানো। রান সমান করে ফেলার পর ব্যাপারটি হলো, কত দ্রুত আমরা রান তুলতে পারি।”
বৃষ্টির জন্য আগের দিনের এক সেশনের বেশি সময়ের খেলা ভেসে যাওয়ায় শেষ দুই দিন খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে, সাড়ে নয়টায়।
তৃতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৯৭ ওভারে ২৮২/৫ (করুনারত্নে ৮০, রাজিথা ০, ম্যাথিউস ৫৮*, ধনাঞ্জয়া ৫৮, চান্দিমাল ১০*; খালেদ ১৫-১-৬২-০, ইবাদত ২৬-৪-৭৮-২, সাকিব ২৬-৯-৫৯-৩, মোসাদ্দেক ২-০-১৪-০, তাইজুল ২৮-৬-৬৩-০)