বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সারওয়ার আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত সুপ্লব চৌধুরী (৪২) কুমিরা ইউনিয়নের উত্তর মসজিদ্দা গ্রামের সমীর চৌধুরীর ছেলে। রায়ের সময় কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
যাকে হত্যার অভিযোগে এ মামলা হয়েছিল, সেই রিটু আইচের বয়স সে সময় ছিল ২৮ বছর। তার বাবার নাম পরিতোষ আইচ। বাড়ি একই এলাকায় হওয়ায় বন্ধুত্ব ছিল সুপ্লব ও রিটুর মধ্যে।
প্রতীকী ছবি
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অজয় বোস রিংকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সুপ্লব চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
“আসামি সুপ্লব আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, তিনি স্বপ্নে আদেশ পেয়েছেন বন্ধুকে বলি দিলে স্বর্গ পাবেন। এ কারণে বাড়ির কাছের স্থানীয় একটি মন্দিরের বারান্দায় বসিয়ে গভীর রাতে পিছন থেকে কুপিয়ে বন্ধু রিটু আইচকে হত্যা করে সুপ্লব।”
২০১২ সালের ২২ অক্টোবর ওই হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে বাড়ির কাছের বিল থেকে রিটু আইচের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আইনজীবী রিংকু বলেন, “হত্যার পর রিটু আইচের মাথাটি সেখানেই ফেলে রেখে দেহটি বিলে ফেলে দিয়েছিলেন সুপ্লব।”
রিটুর ভাই টিটু আইচ থানায় মামলা করলে সুপ্লবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ জন সাক্ষী এবং আসামি পক্ষের দুইজনের সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার আদালত রায় দিল।