বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে (বিএফসিসি) অভিযান চালিয়ে বুধবার
আব্দুল আজিজ আখন্দ নামে ওই কর্মীকে আটক করা হয়।
তাকে আটক করতে গিয়ে বিমানকর্মীদের বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা
কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) সানোয়ারুল কবীর।
তার এই অভিযোগের বিষয়ে বিমানের কোনো বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
জানতে পারেনি।
সানোয়ারুল বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল যে দুবাইফেরত একটি ফ্লাইটে স্বর্ণের
চালান আসবে এবং তা বিএফসিসির প্যান্ট্রিম্যান আজিজের মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে বাইরে
আসবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে উত্তর পাশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাটারিং
সেন্টার। যেখানে বিমানের ফ্লাইটের জন্য খাবার রান্না করা হয়। সেই খাবার ফ্লাইটে সরবরাহ
করা হয়।
বিএফসিসি থেকে বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকায় প্রবেশ করা যায়। বিএফসিসির
কর্মীদের বিমানবন্দরে ঢোকার সময় কেবল বিমানের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীদের তল্লাশি পেরিয়ে
যেতে হয়। এভিয়েশন সিকিউরিটি কিংবা কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা তাদের তল্লাশি করে না।
সানোয়ারুল বলেন, “ আমরা দুপুর
১টার দিকে বিএফসিসিতে ঢুকতে গেলে বাধার মুখে পড়ি। আমাদের কোনাভাবেই প্রবেশ করতে দেয়নি
সেখানকার কর্মকর্তারা।”
এরপর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআইর কর্মকর্তাদের ডেকে আনেন শুল্ক কর্মকর্তারা। তারা
নিজেরাও নজর রাখতে থাকেন বিএফসিসির ফটকে।
“রাত ৮টার দিকে প্যান্ট্রিম্যান আজিজকে বিমানবন্দরের
এপ্রোন এলাকা থেকে বিএফসিসিতে ঢুকতে দেখা যায়। তখনই তাকে আটকান কাস্টমসের কর্মকর্তারা,” বলেন
সানোয়ারুল।
তিনি জানান, আজিজের শরীরে কালোটেপে মোড়ানো অবস্থায় সোনার বারগুলো পাওয়া
যায়, যার ওজন প্রায় ৮ কেজি।
কাস্টমসের প্রিভেন্টিভ শাখার কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায় বলেন, আটক আজিজের
বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।