এমনিতে
দেশের ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের পরিচয় অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান, যিনি
বল হাতেও কার্যকর। তবে মিরপুর টেস্টে তিনি দুই ইনিংসেই তাকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় আট
নম্বরে।
এই
টেস্টে তিনি একাদশে জায়গা পান নাঈম হাসান চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায়। চট্টগ্রাম টেস্টে
নাঈম প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। নাঈম নিজেও এই সিরিজে সুযোগ পেয়েছিলেন মেহেদী
হাসান মিরাজ না থাকায়। চোটের কারণে এই সিরিজে খেলতে পারেননি মিরাজ।
মিরাজ-নাঈম
দুজনই না থাকায় দলে তৈরি হয় শূন্যতা। অন্য কোনো অফ স্পিনার না নিয়ে মোসাদ্দেকের ওপর
ভরসা রাখে দল। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মোসাদ্দেকের বোলিং বেশ কার্যকর
হলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ততটা নয়।
টেস্ট
ম্যাচে নেমে নাটকীয় কিছু মোসাদ্দেক করতেও পারেননি। আটে নেমে দুই ইনিংসে রান করেছেন
শূন্য ও ৯। দুটিতেই আউট বাজে শটে। বল হাতে নবম ওভারেই তাকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মুমিনুল
হক। কিন্তু প্রথম ওভারে দুটি চার হজম করেন তিনি। ২ ওভারে ১৪ রান দেওয়ার পর তাকে সরিয়ে
নেন অধিনায়ক।
এরপর
শ্রীলঙ্কা বড় জুটি গড়লেও ১০০ ওভারের আগে মোসাদ্দেকের হাতে আর বল তুলে দেননি অধিনায়ক।
পরে অবশ্য আরও ১০ ওভার বোলিং করেন তিনি। সব মিলিয়ে ১২ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।
বলার অপেক্ষা রাখে না, ম্যাচে তার বোলিংয়ে আস্থা রাখতে পারেননি অধিনায়ক।
বোলিং
যেহেতু কাজে লাগলই না, মোসাদ্দেকের জায়গায় ইয়াসির আলি চৌধুরির মতো কোনো স্পেশালিস্ট
ব্যাটসম্যান নিলে দলের বেশি কাজে লাগত কিনা, এই প্রশ্ন উঠল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
কোচ ডমিঙ্গো বিশদভাবে বললেন মোসাদ্দেককে নেওয়ার পেছনে তাদের ভাবনা এবং সেই পরিকল্পনায়
আশাহত হওয়ার কথা।
“মোসাদ্দেক
খেলেছে কারণ পঞ্চম বোলার হিসেবে কাউকে প্রয়োজন ছিল আমাদের। আমাদের মনে হয়েছিল, দিনে
১৫ ওভার বোলিং করে দিতে পারবে সে। আমি কখনোই চার জন বোলার নিয়ে খেলার পক্ষপাতী নই।
আগেও এটার কারণে আমাদের ভুগতে হয়েছে। এখানেও ভুগতে হয়েছে, কারণ যতটা আশা করেছিলাম,
ততটা করতে পারেনি মোসাদ্দেক।”
“রাব্বিকে
(ইয়াসির) খেলালে আট নম্বরে ব্যাটিং করাতে হতো। যেটার কোনো মানে নেই। আমাদের মনে হয়েছিল,
মোসাদ্দেক হয়তো প্রায় মিরাজের মতোই করতে পারবে। মিরাজকে না পাওয়া একটা বড় ক্ষতি। কারণ
সে অনেক ওভার বোলিং করে, নিয়ন্ত্রিত বল করে, উইকেট নেয়, ব্যাটিংও করে। এটাই কারণ (মোসাদ্দেককে
নেওয়ার)।”