বৃহস্পতিবার
এক ঘোষণায় বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো এই পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিস জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের
ফলে বছরে তাদের কয়েক লাখ পাউন্ড খরচ সাশ্রয় হবে, সেই সঙ্গে তারা ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’
ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।
রয়টার্স
জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আগামী কয়েক বছরে এক হাজারের মত কর্মী কমাতে
পারে বিবিসি।
বিবিসির
আয়ের অন্যতম উৎস হল ব্রিটেনের বাড়ি প্রতি ধার্য করা লাইসেন্স ফি। কোভিড-১৯ মহামারীর
কারণে আগামী দুই বছরের জন্য সেই ফি আদায় স্থগিত রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে
সমন্বয় করে পরের চার বছরে এই লাইসেন্স ফি বাড়ানো হবে।
বিবিসির
মহাপরিচালক টিম ডেভি কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, এ বছর শতবর্ষ উদযাপনের অপেক্ষায় থাকা
এই করপোরেশনের অবশ্যই সংস্কার দরকার, যাতে প্রসঙ্গিক থাকা যায়, সবার জন্য মানসম্পন্ন
সেবা অব্যাহত রাখা যায়।
এই পরিকল্পনা
বছরে বিবিসির ৫০ কোটি পাউন্ড বা ৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাশ্রয় করবে। তাতে লাইসেন্স ফির
২০ কোটি পাউন্ডের ঘাটতি তহবিল পূরণ হবে এবং বাকি ৩০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে ডিজিটাল
মাধ্যমে এবং এর অন-ডিমান্ড ভিডিও সেবা আইপ্লেয়ারের জন্য নতুন অনুষ্ঠান বানাতে।
বিবিসির
কর্মীদের প্রতি চার জনের অন্তত একজন যাতে শ্রমজীবী পরিবার থেকে আসে, তা নিশ্চিত করতে
সরকারি নির্দেশনার পরপরই সম্প্রচার মাধ্যমটি সংস্কারেরর ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
মানসম্মত
অনুষ্ঠান এবং সংবাদ প্রচারের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রসংশিত ও পরিচিত বিবিসি। তবে পরিবর্তিত
সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পটভূমির সঙ্গে মানিয়ে নিতে এ সংবাদমাধ্যমকে যথেষ্ট সংগ্রাম করতে
হচ্ছে।
সমালোচকদের
অভিযোগ, বিবিসি অনেক বেশি লন্ডন-কেন্দ্রিক, মহানগরীর দৃষ্টিভঙ্গিতে জোর দিতে গিয়ে দেশের
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হচ্ছে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত
এ সম্প্রচারমাধ্যম।