মুমিনুলের
নিজের বাজে ফর্ম ও বাংলাদেশ দলের একের পর এক হার মিলিয়েই প্রশ্নগুলি উঠছে। বছরের শুরুতে
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয়কে বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন সময়ের সূর্যোদয় বলে
মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আদতে আগের সেই আঁধার রয়েই গেছে।
ওই
জয়ের পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে উড়ে গেছে বাংলাদেশ, বাজেভাবে
দুই টেস্ট হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এবার দেশের মাঠে সিরিজ হারতে হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও।
দলের
মতো মুমিনুলের পারফরম্যান্সেও একই ধারা যেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে
দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে ৯ ইনিংসে আর ফিফটি নেই। ক্রাইস্টাচার্চ
টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান করতে পেরেছিলেন, কিন্তু বাকি ৮ ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে
পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। সব মিলিয়ে সবশেষ ১৫ ইনিংসের ১২টিতেই আউট হয়েছেন ১০ রান ছোঁয়ার
আগেই।
শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ রানে আউট হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেছিলেন,
“মুমিনুলের ফর্ম খারাপ নয়, সে স্রেফ রান যাচ্ছে না।” দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল আলগা শটে
আউট হন শূন্য রানে।
এবার
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কোচ ডমিঙ্গো মানলেন, মুমিনুলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না।
“কোনো
সংশয় নেই যে, সে চাপ অনুভব করছে। প্রত্যাশার ভার সে টের পাচ্ছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের
মতো একটা দেশে, যেখানে শুধু গত ২-৩ বছর নয়, ১০-১৫ বছর ধরেই ফলাফল ভালো হয়নি। এখানে
অধিনায়ক সবসময়ই আতশি কাঁচের নিচে থাকে। কেউ যত কঠিন মানসিকতা ও সাহসীই হোক না, এসব
চাপ তাকে দুর্বল করেই ফেলে সময়ের সঙ্গে।”
তবে
সময়টা মুমিনুলের পক্ষে না থাকলেও ডমিঙ্গো তার পাশেই আছেন। অধিনায়কের ছন্দে ফেরার অপেক্ষায়
আছেন কোচ।
“সে
কঠিন মানসিকতার ছেলে, দুর্দান্ত ক্রিকেটার। আগেও যেমন বলেছি, বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে
বেশি সেঞ্চুরি তারই। ওর ওপর ভরসা রাখছি যে কোনো একটা পর্যায়ে ঘুরে দাঁড়াবে। ওর এখন
প্রয়োজন একটু ফুরসত, যেখানে সে নিজের মতো করে বসে তরতাজা হয়ে ভাবতে পারে যে তার খেলা
এখন ঠিক কোন জায়গায় আছে।”