আগামী ৫ জুন কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর এটি হতো দেশের মাটিতে কানাডার প্রথম ম্যাচ।
ম্যাচটি বাতিল করার পেছনে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কানাডা সকার (সিএস)।
মূলত ম্যাচ আয়োজন নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল কানাডা সরকার ও ২০২০ সালে ইরানের ‘হামলায়’ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানে নিহত দেশটির মানুষের পরিবারগুলো।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পর ইউক্রেইন এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই নিহত হন। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন ইরান এবং কানাডার নাগরিক।
প্রথমে যান্ত্রিক সমস্যার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে দাবি করে ইরান। কিন্তু উড়োজাহাজটি ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম তা অস্বীকার করলেও ঘটনার তিন দিন পর ‘ভুল করে’ উড়োজাহাজটি ভূপাতিতের কথা স্বীকার করে ইরান কর্তৃপক্ষ।
সেই ঘটনার জেরেই নিজ দেশে ইরান দলকে আমন্ত্রণ জানানোর বিপক্ষে সম্প্রতি মত দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিবৃতি দিয়ে সিএস জানিয়েছে, ইরানের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কানাডার জনগনের মধ্যে অসন্তোষ এবং ‘বিভক্তি’-এর পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে।
সিএস আরও জানিয়েছে, এখন থেকে তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য সবকিছু ভালোভাবে পর্যালোচনা করবে এবং বাতিল হওয়া ম্যাচটির পরিবর্তে আরেকটি ম্যাচ আয়োজনে বিকল্প দল খোঁজার জন্য কাজ করবে তারা।