ক্যাটাগরি

রাশিয়া নিয়ে ‘খেলা থামান’, যুদ্ধ বন্ধ করুন: পশ্চিমাদের জেলেনস্কি

তার দেশ স্বাধীনই থাকবে দাবি করে জেলেনস্কি বলেন, কোন মূল্যে এই স্বাধীনতা রক্ষা হবে সেটিই প্রশ্ন।

সম্প্রতি পশ্চিমাদের সমালোচনা বাড়িয়েছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ধীরে এগোচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সময়ে হাজার হাজার রুশ সেনা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই শহর সিভিয়েরোদোনেতস্ক এবং লিসিচানস্ক ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।

ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের তিন মাস হতে চলেছে। এর মধ্যে কিইভ দখলের চেষ্টা থেকে সরে এসেছে রাশিয়া। ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকার অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে তারা। ২০১৪ সাল থেকে ওই অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়ে আসছে মস্কো।

পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা সিভিয়েরোদোনেতস্ক এবং লিসিচানস্ক শহরের যুদ্ধকে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন। গত সপ্তাহে মারিউপোলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের পর এ দুই শহরের পতন হলে যুদ্ধের মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, “ইউক্রেইন সবসময় স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। এটি ভেঙে যাবে না। একমাত্র প্রশ্ন হচ্ছে, স্বাধীনতার জন্য আমাদের জনগণকে কী মূল্য দিতে হবে; আর আমাদের বিরুদ্ধে কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া কী মূল্য দেবে সেটি।”

তিনি আরও বলেন, “বিপর্যয়কর যেসব ঘটনা সামনে আসছে তা এখনও বন্ধ করা যেতে পারত, যদি বিশ্ব ইউক্রেইনের মতো একইরকম পরিস্থিতিতে পড়ার উপলব্ধি দিয়ে সেভাবে কাজ করতে পারত। যদি বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো রাশিয়াকে নিয়ে খেলা না করে বরং যুদ্ধ শেষ করার জন্য সত্যিকারের চাপ প্রয়োগ করত।”

রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে ইইউ দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের সমালোচনা করেছেন জেলেনস্কি। কিছু দেশকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা বন্ধের সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও অভিযোগ করেছেন তিনি।

ইইউ রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞাসহ দেশটির ওপর ষষ্ঠ দফা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছে। এক্ষত্রে মতৈক্য প্রয়োজন। কিন্তু হাঙ্গেরি তাদের অর্থনীতি বাঁচাতে এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে জ্বালানি সরবরাহ করে রাশিয়া প্রতিদিন শত কোটি ইউরো আয় করছে।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ষষ্ঠ প্যাকেজে (নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব) একমত হওয়ার জন্য আরও কত সপ্তাহ চেষ্টা করবে? রাশিয়ার ওপর চাপ আক্ষরিক অর্থে জীবন বাঁচানোর ব্যাপার। বিলম্ব, দুর্বলতা, নানাবিধ বিরোধ বা কিংবা আগ্রাসীকে ‘শান্ত’ রাখার প্রস্তাবের অর্থ হচ্ছে আরও বেশি ইউক্রেইনীয় নাগরিকের মৃত্যু।”