ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এই এমসিকিউ পরীক্ষা হবে।
এই বিসিএসের মাধ্যমে ২৫টি ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
এ পরীক্ষায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫ নম্বর, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) এবং পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ১০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞানে ১৫ নম্বর, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিতে ১৫ নম্বর, গাণিতিক যুক্তিতে ১৫ নম্বর, মানসিক দক্ষতায় ১৫ নম্বর নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনে ১০ নম্বর মিলিয়ে ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে প্রার্থীদের।
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর মিলবে; আর ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে।
৪৪তম বিসিএসে অংশ নিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও কালো কালির বল পয়েন্ট কলম নিয়ে কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তরপত্রে তাদের নিজ জেলা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সংশ্লিষ্ট বৃত্তগুলো কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে পূরণ করতে হবে। আর অবশ্যই সই করতে হবে হাজিরা তালিকায়।
বই, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ব্যাগ, গয়না, যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
কানে কোনো ধরনের শ্রবণযন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই পিএসসির অনুমতি নিতে হবে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ৩০ ডিসেম্বর, শেষ হয় ২ মার্চ। ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী এ পরীক্ষায় বসার আবেদন করেন।
এই বিসিএসের মাধ্যমে সাধারণ ক্যাডারে ৪৪৯ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ জন, সাধারণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ৪০১ জন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য সাধারণ শিক্ষায় ২০ জন ও কারিগরি শিক্ষায় ৩৫৫ জন নিয়োগ পাবে বলে পিএসসি জানিয়েছে।