মিরপুর
টেস্টে শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে শুরুর দিকে মুশফিকুর রহিমকে হারায় বাংলাদেশ।
তবে সাকিব আল হাসান উইকেটে গিয়ে দারুণ খেলতে থাকেন। লিটন দাস তো প্রতিরোধের দেয়াল গড়েছিলেন
আগে থেকেই। দুজনের দারুণ জুটিতে বাংলাদেশ লাঞ্চ বিরতিতে যায় প্রথম সেশনে স্রেফ ১ উইকেট
হারিয়ে।
বাংলাদেশের
ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা তখন খুবই উজ্জ্বল। লাঞ্চের পরপর জুটির শতরানও হয়ে যায়। লাঞ্চের
পর দ্বিতীয় ওভারে ওই ক্যাচ। আসিথার বলটি অফ স্টাম্পে পিচ করে হালকা মুভ করে ভেতরে ঢোকে।
লিটন ড্রাইভ করতে গিয়ে একটু থমকে যান। বল বাতাসে ভেসে যায় বোলারের দিকে।
ডেলিভারি
করার পর ফলো থ্রুয়ে আসিথার শরীরের মোমেন্টাম ছিল বাঁদিকে। সেখান থেকে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে
অসাধারণ দক্ষতায় এক হাতে বল হাতে জমান আসিথা। লিটন আউট হন ১৩৫ বলে ৫২ রানে।
লিটনের
বিদায় দিয়ে শুরু হয় ধস। একটু পর সাকিবও আউট হন ৫৮ রান করে। ১৩ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট
হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। স্রেফ ২৮ রানে এগিয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হারে ১০ উইকেটে।
ম্যাচ
শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডিকভেলা বললেন, লিটন-সাকিবের জুটির সময়ও তাদের বিশ্বাস ছিল, একটি
উইকেট নিতে পারলেই তারা এগিয়ে যাবেন জয়ের পথে।
“আমাদের
ড্রেসিং রুম ধীরস্থিরই ছিল। আমরা জানতাম, একটি উইকেটের ব্যাপার। একটি উইকেট নিলেই টেলএন্ডাররা
চলে আসবে ব্যাটিংয়ে। আমরা চাপ পেয়ে বসতে দেইনি। লাঞ্চের পর আসিথা দুর্দান্ত একটি ক্যাচ
নেয় (লিটনের), এটিই ছিল টার্নিং পয়েন্ট।”
অর্থনৈতিক
ও রাজনৈতিক বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা এখন বিপর্যস্ত। সেসবের প্রভাব অবশ্য ক্রিকেটে পড়েনি।
তবে এই জয় দেশের মানুষের মনে কিছুটা শান্তির পরশ বুলিয়ে দেবে বলে ধারণা ডিকভেলার।
“আমরা
এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি, দেশে আর সব কিছু পেছনে ফেলেই এসেছি। আমাদের চাওয়া ছিল ভালো
ক্রিকেট খেলা এবং সিরিজ জয় করা। তবে অবশ্যই এটি দেশের মানুষের জন্য একটি প্রাপ্তি হবে,
দেশ এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার জন্য এটা ভালো।”