এমবাপেকে দলে ভেড়াতে রিয়ালের জোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল গত
গ্রীষ্মের দলবদলে। শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করেছিল তারা। তবে রেকর্ড ট্রান্সফার
ফি-এর বিনিময়েও বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে ছাড়তে রাজি ছিল না পিএসজি।
এরপর সময় গড়িয়ে শুরু হয় নতুন বছর। ১ জানুয়ারি থেকে ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে নতুন ঠিকানা বেছে নেওয়ার পথ
খুলে যায় এমবাপের। তবে তিনি নিজে কখনও পিএসজিতে থাকা বা রিয়ালে যোগ দেওয়া নিয়ে
সরাসরি কিছু বলেননি। দুই পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
অবশেষে গত শনিবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পিএসজিতে
থাকার ঘোষণা দেন এমবাপে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেন ২৩
বছর বয়সী এই ফুটবলার।
সময়ের সেরা খেলোয়াড়দের একজনকে ধরে রাখতে পারাটা পিএসজির
জন্য যতটা আনন্দের, রিয়ালের জন্য সেটা ঠিক ততটাই হতাশার।
গত বৃহস্পতিবার স্প্যানিশ একটি রেডিও অনুষ্ঠানে সেই কথাই
বললেন পচেত্তিনো।
“নিঃসন্দেহে এমবাপেকে দলে টানতে না পারাটা রিয়াল
মাদ্রিদের জন্য হতাশার।”
“আমি ব্যক্তিগত মতামত দেব না। এটা যার যার সিদ্ধান্ত।
তবে ক্লাব, ভক্ত এবং ফ্রেঞ্চ লিগের জন্য এটা এমন কিছু যা
সবাইকে উপকৃত করবে।”
লম্বা সময় ধরে এমবাপের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনের শেষ পরিণতি
কী হবে,
সেটা নাকি নাটকীয়তার শেষ দিনও জানতে পারেননি পচেত্তিনো।
“আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে সে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
নেয়নি এবং জানতাম যে সেটা শেষ মুহূর্তে হতে যাচ্ছে।”
“আনুষ্ঠানিকভাবে আমি (ঘোষণার) আধা ঘণ্টা আগে এমবাপের
চুক্তি নবায়নের বিষয়টি জানতে পেরেছিলাম। তার খুব কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও আমরা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতাম না। সভাপতির কাছ থেকে আমি এটা জানতে পেরেছিলাম।”