খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, এসআই বিশ্বজিত কুমার বোস ৯২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০০ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা করেন।
ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত নগরের সদর থানা ও কেডি ঘোষ সড়কের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলে। এতে দুপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন বলে তারা দাবি করছেন। এছাড়া তিনজন সাংবাদিকও আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি হাসান বলেন, বিএনপির সমাবেশ চলাকালে তাদের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এছাড়া তারা ভাংচুর চালায় ও সরকারি কাজে বাধা দেয়। এ কারণে এই মামলা করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল থেকে আটক মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৩৭ জন নেতাকর্মীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে পুলিশ ছাত্রলীগ এক হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তাদের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। অথচ পুলিশ উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
খুলনায় ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে খুলনা নগর ও জেলা ছাত্রলীগ। মিছিলটি পিকচার প্যালেস মোড় অতিক্রমের সময় ‘বিনা উসকানিতে’ বিএনপি হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে চেয়ার ও স্টেজ ভাঙচুর করেছে বলে এ ছাত্রলীগ নেতার ভাষ্য।