ক্যাটাগরি

জাহাজ নির্মাণে ২০০০ কোটি টাকার তহবিল, সুদ ৪.৫%

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
নিজস্ব তহবিল থেকে গঠিত এ স্কিম থেকে গ্রাহকরা সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত
পূর্ণাঙ্গ সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ব্যাংক।

এ তহবিল থেকে ১ শতাংশ
সুদে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে
৩ শতাংশ সুদ বা মুনাফা যোগ করে ঋণ দিতে পারবে।

দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে
জাহাজ রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার হাতছানির কথা বলা হচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তবে করোনাভাইরাস
মহামারীর কারণে এ খাতে অগ্রগতি পিছিয়ে পড়েছে।

জাহাজ রপ্তানি থেকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ এক কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করেছিল। বিশ্ব বাজারে সম্ভাবনা থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে এক কোটি ৮০ লাখ ডলার ধরা হয়। তবে ২০২০ সালের
মার্চে মহামারী শুরুর পর এ খাতের আয় ধাক্কা খায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে,
জাহাজ নির্মাণ শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, পরিচালনা ও বিকাশে গ্রাহক, রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থান
বাড়াতে এবং আমদানিনির্ভরতা কমাতে এ তহবিল সহায়তা করবে।

‘জাহাজ নির্মাণ শিল্পের
জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামের তহবিলটি ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১’
এর আলোকে গঠন করা হয়েছে বলে সাকুর্লারে বলা হয়েছে।
এ তহবিল থেকে যেকোনো তফিসিলি ব্যাংক এ তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে
পারবে।

সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা হবে এই ইয়ার্ডে

সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা হবে এই ইয়ার্ডে

তহবিল পরিচালনার শর্ত

>> কোনো খেলাপি
ঋণ গ্রহীতাকে ঋণ বা বিনিয়োগ দেওয়া যাবে না।

>> স্কিম থেকে
নেওয়া ঋণ বা বিনিয়োগ দিয়ে তা অন্য কোনো ঋণ বা বিনিয়োগ পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না।

>> এ স্কিমের
আওতায় ডকইয়াড নির্মাণ বা জমি কেনা বা ইজারার বিপরীতে ঋণ বা বিনিয়োগ দেওয়া যাবে না।

ঋণ বা বিনিয়োগের মেয়াদ

>> জাহাজ নির্মাণের
জন্য গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংক সর্বোচ্চ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ ১২
বছর (৩ বছর+৯ বছর) মেয়াদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।

>> গ্রেস পিরিয়ড
শেষে ৯ বছরের মধ্যে মাসিক বা ত্রৈমাসিক সমকিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

>> এ স্কিমের
আওতায় ব্যাংক নিজস্ব তহবিল থেকে এক বছর মেয়াদে চলতি মূলধন ঋণ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে
ব্যাংক প্রচলিত নিয়মানুসারে ব্যাংকার ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করবে এবং
ব্যবসায়িক লেনদেন সন্তোষজনক হলে তা নবায়ন করতে পারবে।

তহবিল প্রাপ্যতা

ব্যাংক নিজস্ব নীতিমালার
আওতায় কোনো গ্রাহককে ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থ দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

তবে এ তহবিলের আওতায়
ঋণ বা বিনিয়োগ মঞ্জুরির আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন
হতে তহবিলের প্রাপ্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। তহবিলের প্রাপ্যতা বিষয়ক আবেদনের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগ বিতরণসূচী ও পরিশোধসূচি সংযুক্ত থাকতে হবে বলে সার্কুলারে
বলা হয়েছে।