শুক্রবার দুপুরে ঢাকার এভারকেয়ার
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গৌতম
চক্রবর্তী হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে দুপুরে তিনি
মারা যান।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক
সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ
ফ্রন্টের আহবায়ক ছিলেন।
তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গৌতম
চক্রবর্তীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিকালে তার কফিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর পর
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নেওয়া হবে মরদেহ। এরপর তাকে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে
নিয়ে যাওয়া হবে শেষকৃত্যের জন্য।
টাঙ্গাইল-৬ আসন (নাগরপুর-দেলদুয়ার) থেকে
১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা গৌতম। ২০০১ সালে বিএনপি
সরকার গঠন করলে তাকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী খালেদা
জিয়া।
গৌতম চক্রবর্তীর মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে
যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “গৌতম চক্রবর্তী
ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করতেন। তিনি বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার এই চলে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
“উনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমি
ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তার এই চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হল
তা সহজে পুরণ হবার নয়।”
শোক জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তিনি সরকারের
প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও উন্নয়নে কাজ করেছেন। টাঙ্গাইলে
নির্বাচনী এলাকায় তিনি একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা
করছি, তিনি পরবর্তী জীবনে যেন শান্তি পান।”
তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান
তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়
চৌধুরী আলাদা বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন।