পঞ্চম দিন বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৫ শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৫০৬ বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২০ ওভারে ৫৩/৪ |
রিভিউয়ে রক্ষা লিটনের
কাসুন রাজিথার বলে লিটন দাসকে কট বিহাইন্ড আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। লিটন টিকে গেলেন রিভিউ নিয়ে। লেগ স্টাম্পে পিচ করা বল অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে ফ্লিক করার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। বল যায় কিপারের গ্লাভসে। লঙ্কানদের জোরালো আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
লিটন রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। রিভিউয়ে দেখা যায়, ব্যাটে নয়, বল লেগেছে প্যাডে। লিটন তাই থেকে গেলেন ক্রিজে। তার রান তখন ৯।
আগের দিন উইলসনের তিনটি সিদ্ধান্ত বদলে গিয়েছিল রিভিউয়ে। শেস দিনের শুরুতেই আবার তার আরেকটি সিদ্ধান্ত টিকল না শেষ পর্যন্ত।
বাংলাদেশের পঞ্চাশ
আসিথা ফার্নান্দোর বলে মুশফিকুর রহিমের বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের রান পেরিয়ে গেল পঞ্চাশ। ১৮ ওভার শেষে রান ৪ উইকেটে ৫২।
দিনের শুরুটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। দিনের দ্বিতীয় ওভারে বাউন্ডারি মারেন লিটন দাস, মুশফিক পরে বাউন্ডারি মারলেন দুটি। প্রথম ৫ ওভারে রাস এসেছে ১৮। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, উইকেট পড়েনি।
২২ রানে খেলছেন মুশফিক, ৯ রানে লিটন।
চান্দিমালের চাওয়া
শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে এই টেস্টে শ্রীলঙ্কার সেঞ্চুরিয়ান দিনেশ চান্দিমাল বলেন, “উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। আমরা সবাই জানি, মুশফিক ও লিটন খুব ভালো ফর্মে আছে। আমরা চাইব, যত দ্রুত সম্ভব ওদেরকে আউট করতে।”
সাকিবের তিন ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ
চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাব্য ছবি এঁকেছেন সাকিব আল হাসান। তার মতে, মুশফিক ও লিটন জুটিকে ব্যাট করতে হবে লাঞ্চ পর্যন্ত। এরপর তিনি নিজে ক্রিজে গিয়ে সময় কাটাতে চান অন্তত তিন ঘণ্টা।
লাঞ্চের আগে উইকেট হারালেও একটির বেশি হারানো যাবে না, বরেছেন সাকিব। প্রথম সেশনে একাধিক উইকেট হারালেই দলের জন্য বাজে হবে বলে ধারণা তার।
ভরসা সেই মুশফিক-লিটন
প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ২৭২ রানের রেকর্ড জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাস। দ্বিতীয় ইনিংসেও আরও একবার বিধ্বস্ত টপ অর্ডার। ২৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলটা লড়াই করে পার করে দেন মুশফিক ও লিটন। শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচানোর কঠিন লড়াইয়ে তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল।
৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে শেষ দিন শুরু করবে বাংলাদেশ। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই প্রয়োজন আরও ১০৭ রান।
শ্রীলঙ্কার চাওয়া থাকবে এই জুটিতে দ্রুত ফাটল ধরানো। সিরিজজুড়ে অসাধারণ বোলিং করা দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো শেষ দিনে চাইবেন আরেকবার দ্রুত ছোবল দিতে।