ক্যাটাগরি

শরণখোলায় আগুনে পুড়েছে ২১ দোকান

শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার রাজাপুর বাজারে লাগা এ আগুন ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে।

শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তারা মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিটকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা পানি ছিটানোর আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে ২১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়।

বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানালেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।  

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক গোবিন্দ দাস বাদল মণ্ডল বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। ভোরে স্থানীয়দের কাছে আগুন লাগার খবর পেয়ে বাজারে গিয়ে দেখি, সারিবদ্ধ দোকানগুলো পুড়ছে।

“আমরা স্থানীয়ভাবে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করি। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়।”

তিনি বলেন, “আগুনে আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠব বুঝে উঠতে পারছি না।“

রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আগুনে এই বাজারের ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, মুদি, স্টেশনারি, লন্ড্রি ও কসমেটিকসসহ বিভিন্ন ধরনের মোট ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসব দোকান মালিকরা তাদের কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেনি।

আগুনে অন্তত দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

শরণখোলার ইউএনও মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের প্রত্যেককে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় মিলন তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেন।