পূর্বাঞ্চল থেকে ইউক্রেইনীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হলে তা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল পুরোপুরি দখলের লক্ষ্যের কাছাকাছি নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একত্রে দনবাস নামে পরিচিত এই দুই এলাকায়ই পুতিনের বাহিনী অগ্রগতি অর্জন করেছে।
লুহানস্কের গভর্নর সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, রাশিয়ার সেনারা বেশ কয়েকদিন ধরে সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক শহরে ইউক্রেইনের সেনাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করার পর সেখানে প্রবেশ করেছে।
দনবাস অঞ্চলে এখনও ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণে থাকা বৃহত্তম শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে হাইদাই জানিয়েছেন।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে তিনি বলেছেন, “আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাশিয়া লুহানস্ক অঞ্চলের দখল নিতে পারবে না বলে কিছু বিশ্লেষক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।”
ছবি: রয়টার্স
লুহানস্ক অঞ্চল বলতে তিনি সিভারস্কি দোনেৎস্ নদীর দুই পাশের জোড়া শহর সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক ও লুইসিচ্যানস্কের কথা উল্লেখ করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
“নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের যথেষ্ট শক্তি ও সম্পদ থাকবে। যাহোক সম্ভবত চারদিক থেকে ঘেরাও হয়ে না পড়ার জন্য আমাদের পশ্চাদপসরণ করতে হতে পারে,” বলেছেন তিনি।
রাশিয়াপন্থি ইউক্রেইনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানিয়েছে, তারা এখন সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের পশ্চিমে রেলওয়ে কেন্দ্র লেমান নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইউক্রেইন জানিয়েছে, রাশিয়া লেমানের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে কিন্তু তাদের সেনারা দক্ষিণে স্লোভিনস্কের দিকে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, “আমাদের বর্তমান প্রতিরক্ষা সম্পদের ক্ষমতা অনুযায়ী যতটা সম্ভব ইউক্রেইন তার ভূখণ্ড রক্ষা করার চেষ্টা করছে।”
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার দোনেৎস্ক ও লুহানস্কতে রুশ বাহিনীর আটটি হামলা রুখে দিয়েছে তারা, এ সময় ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানও ধ্বংস করেছে।
“দখলদাররা যদি মনে করে লেমান ও সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক তাদের হবে, তবে তারা ভুল করবে। দনবাস ইউক্রেইনীয়দেরই হবে,” জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন জেলেনস্কি।