শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকার ছয়টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে চারটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠান চারটি হল- চট্টেশ্বরী রোডের কসমোপলিটন হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, ডবলমুরিং থানাধীন ডিটি রোডের পপুলার মেডিকেল সেন্টার, দামপাড়ার নিরুপনী প্যাথলজি ল্যাবরেটরি এবং পাঁচলাইশ থানা এলাকার সিএসটিসি হাসপাতাল।
সিভিল সার্জন ইলিয়াছ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এসব হাসপাতাল ও ল্যাবের লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র না পাওয়া, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কারণে চার প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“কসমোপলিটন হাসপাতালে কর্মকর্তারা লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পপুলার মেডিকেল সেন্টারে ব্লাড কালেকশানের জন্য মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট নেই। বাইরের প্যাথলজিতে দিয়ে তারা পরীক্ষা করান।
“নিরুপনী ল্যাবরেটরিতে অভ্যর্থনা কক্ষেই রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। তাদের পরিবেশ ছাড়পত্র নেই এবং ল্যাবটি অপরিচ্ছন্ন ছিল। সিএসটিসি হাসপাতালে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল কারও দেখা মেলেনি। তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও কর্মরতরা দেখাতে পারেননি।”
পপুলার মেডিকেল সেন্টার ও নিরুপণীকে নতুন করে আর অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর বাইরে সিভিল সার্জন পাঁচলাইশ এলাকার ট্রিটমেন্ট ও পলি হাসপাতাল নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। সেখানে সেবার মূল্য তালিকা দেখতে না পেয়ে তা প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অনুমোদনহীন এবং নিয়ম না মেনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।