শুক্রবার মার্কিন নৌ ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইন দখল করে ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার প্রচেষ্টা ‘ব্যাকফায়ার করেছে’।
মেরিল্যান্ডের অ্যানাপোলিসে এক হাজার ২০০ স্নাতক ক্যাডেটের উদ্দেশ্যে বাইডেন এমনটা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাইডেন বলেন, এই নৌ ক্যাডেটরা এমন এক সময়ে সামরিক বাহিনীতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যখন বিশ্বজুড়ে নানান চ্যালেঞ্জ আর তাদের দায়িত্ব হবে ‘অনিশ্চিত বিশ্বে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা’।
“আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা আপনাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকবো,” বলেছেন ডেমোক্র্যাট এ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার হামলার বিরোধিতায় অনেকগুলো দেশের জোট সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখা বাইডেন এদিন পুতিনকে নিয়েও কড়া কথা বলেছেন। নেটো মিত্রদের বিভক্ত করতে রুশ প্রেসিডেন্টের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
“তিনি (পুতিন) কেবল ইউক্রেইন দখলেরই চেষ্টা করছেন না, তিনি ইউক্রেইনের জনগণের সংস্কৃতি ও পরিচয় মুছে ফেলতে চাইছেন। সংস্কৃতি নির্মূল ছাড়া স্কুল, নার্সারি, হাসপাতাল, জাদুঘরে হামলার আর কোনো উদ্দেশ্যই থাকতে পারে না,” বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
“পুতিন চেয়েছিলেন ইউরোপকে ফিনল্যান্ডের মতো বানাতে, কিন্তু এর বদলে আস্ত ইউরোপই নেটোতে ভিড়ে যাচ্ছে,” বলেন তিনি।
স্নায়ুযুদ্ধের সময়ও নিরপেক্ষ থাকা ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে নেটোতে যোগ দেওয়ার অভিপ্রায়ের উল্লেখ করে বলেন বাইডেন।
সম্প্রতি এশিয়ায় প্রায় এক সপ্তাহ কাটানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক সামুদ্রিক এলাকা হবে সেখানকার প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে মার্কিন প্রতিক্রিয়ার ‘অগ্রভাগ’।
“আপনারা পথের আন্তর্জাতিক নিয়ম সুরক্ষিত রাখবেন, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের ভবিষ্যৎ লিখবেন, দক্ষিণ চীন সাগর ও এর বাইরেও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবেন; নৌপথ যেন অবাধ ও নিরাপদ থাকে তাও নিশ্চিত রাখতে হবে আপনাদের,” বলেছেন বাইডেন।
“দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এসব মৌলিক সামুদ্রিক নীতিগুলো বৈশ্বিক অর্থনীতি ও স্থিতির ভিত্তি। আপনারা আমাদের ইউরোপীয় মিত্র ও ইন্দো-প্যাসিফিকের মিত্রদের একত্রিত করতে সহায়তা করতে যাচ্ছেন,” বলেছেন তিনি।