বিবিসি জানায়, আলোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ‘এখনই যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার উপর জোর দেন’।
জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি আরো জানায়, দুই ইইউ নেতা পুতিনকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ‘সরাসরি গুরুতর আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধ থামানোর একটি পথ খুঁজে বের করার’ অনুরোধও করেছেন।
তবে ফ্রান্স বা জার্মানি যতই কূটনৈতিক পথে যুদ্ধ অবসানের পথ খোঁজার কথা বলুক, ইউক্রেইন বা রাশিয়া এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছে না।
বরং আলোচনায় পুতিন দুই নেতাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেইনকে অস্ত্রের যোগান দেওয়ার পরিনতি ‘বিপজ্জনক’ হবে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অস্থিতিশীলতা হওয়ার এবং মানবিক বিপর্যয় নেমে আসার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা এবং দেশটির পক্ষে শান্তি আলোচক দলের প্রধান মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতেই তাদের আস্থা নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘‘রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তির কানাকড়ি দামও নেই।
‘‘এমন একটি দেশ যারা সর্বদা কুৎসিতভাবে এবং প্রচারণা জন্য মিথ্যা বলে তাদের সঙ্গে কী কোনো আলোচনা সম্ভব?”
ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর শান্তি ফিরিয়ে আনতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা একাধিক দফা আলোচনায় বসেছিল। সেই আলোচনা যে ভেস্তে গেছে তা এখন বলাই যায়। কারণ, ২৯ মার্চের পর উভয় পক্ষের আর কোনো বৈঠক হয়নি।