বিবিসির
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ডেনিস বাটলার আগেও নানান অপরাধের জন্য পরিচিত
ছিলেন; একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা জনা চল্লিশেক লোককে ‘টার্গেট’ বানানোর পর তিনি নিহত হন।
ওই
নারীর ক্ষিপ্র প্রতিক্রিয়া অনেক জীবন বাঁচিয়েছে এবং হতে পারতো এমন একটি ‘ম্যাস শুটিং’ ঠেকিয়েছে, বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র টন হ্যাজেলেট।
টেক্সাসে
একটি স্কুলে গুলির ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র বিতর্ক চলার মধ্যে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায়
এ ঘটনা ঘটল।
বুধবার
স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকেও চার্লসটনের ওই এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিলেন বাটলার,
শিশুরা খেলছিল এ কারণে তাকে আস্তে চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।
পরে
তিনি এআর-১৫ ধরনের বন্দুক হাতে ফিরে আসেন এবং তার গাড়ি থেকে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের
বাইরে জন্মদিনের অনুষ্ঠান লক্ষ্য করে গুলি চালান।
যে
নারী বাটলারকে লক্ষ্য পাল্টা গুলি চালান তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে কাজের কোনো
অভিজ্ঞতা ছিল না বলে জানিয়েছেন হ্যাজেলেট। ওই নারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
“তিনি এলাকার একজন সাধারণ সদস্য, যিনি বৈধভাবেই তার
অস্ত্র বহন করছিলেন। উদ্ভূত হুমকি থেকে পালিয়ে না গিয়ে তিনি হুমকির মুখোমুখি হয়েছিলেন
এবং একাধিক জীবন বাঁচিয়েছেন,” বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র।
গুলি
চালানো ওই নারী পরেও ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং তদন্তকর্মীদের সহযোগিতা করেছেন। তার বিরুদ্ধে
কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ঘটনাস্থলেই
বাটলারের মৃতদেহ পাওয়া যায়; তার শরীরে একাধিক গুলির ক্ষত মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হ্যাজেলেট
জানান, দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হওয়ায় বাটলারের বৈধভাবে অস্ত্র বহনের সুযোগ ছিল না; কিন্তু
এরপরও কীভাবে তিনি অস্ত্র পেলেন, তা স্পষ্ট নয়।
টেক্সাসের
একটি প্রাইমারি স্কুলে এক তরুণ বৈধভাবে কেনা অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে ১৯ শিশুসহ ২১
জনকে হত্যার পর চার্লসটনে এ ঘটনা ঘটল। টেক্সাসের ওই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ
নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উসকে দিয়েছে।