ক্লপের মতে, লিওনেল মেসি বা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর
মতো মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সে সবাইকে যোজন যোজন দূরত্বে পেছনে ফেললে অন্য কথা।
নইলেন ব্যালন ডি’অর জিততে ইউরোপ সেরার মঞ্চে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্যারিসের ফাইনালে শনিবার
মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। দুই দলের দুই তারকা পুরস্কারটি জেতার লড়াইয়ে
এগিয়ে থাকায় ম্যাচটির আগে আলোচনায় চলে আসছে ব্যালন ডি’অর প্রসঙ্গ।
রিয়ালের এবারের লা লিগা জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখা
বেনজেমা প্রতিযোগিতাটিতে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আছেন দুর্দান্ত
ফর্মে। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার-ফাইনালে এই ফরাসি তারকার হ্যাটট্রিকেইই পিএসজি ও চেলসিকে
বিদায় করে দেয় মাদ্রিদের দলটি। সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে
লড়াইয়ের ভাগ্য নির্ধারণী গোলটিও তারই করা।
শুধু ক্লাব ফুটবলেই নয়, জাতীয় দলে গত অক্টোবরে
ফ্রান্সের নেশন্স লিগ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ রাখেন তিনি। চার দলের ফাইনালসের সেমি-ফাইনাল
ও ফাইনালে একটি করে গোল করেন।
লিভারপুল ফরোয়ার্ড মানেও মৌসুমজুড়ে ক্লাবের পাশাপাশি
জাতীয় দলে দুর্দান্ত খেলছেন।
সেনেগালকে আফ্রিকান নেশন্স কাপ জেতানোর পর দেশকে
তুলেছেন কাতার বিশ্বকাপে। আর লিভারপুলের হয়ে শেষ রাউন্ড পর্যন্ত লড়ে প্রিমিয়ার লিগ
জিততে না পারলেও আগেই জিতেছেন এফএ কাপ ও লিগ কাপ। এবারের প্রিমিয়ার লিগে তিনি গোল করেছেন
১৬টি।
বেনজেমা বা মানে, কেউই আগে ব্যালন ডি’অর জেতেননি।
একটা লম্বা সময় ধরে এটির লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল কেবল মেসি ও রোনালদোর মধ্যে। গত কয়েক বছরে
তাদের সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। এই দুজন বাদে অন্য যারা এটি জিতেছেন, ব্যক্তিগতভাবে
অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোর পাশাপাশি তাদের ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাটাও
রেখেছে বড় ভূমিকা।
প্যারিসের ফাইনালের আগে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে
ক্লপের কাছে জানতে চাওয়া হয় বেনজেমা ও মানের ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে। ৫৪ বছর
বয়সী এই জার্মান কোচ জানান তার ভাবনা।
“(ব্যালন ডি’অর জিততে) হয় আপনাকে রোনালদো বা
মেসি হতে হবে বা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জিততে হবে। আমি মনে করি, খেতাবটি জেতার
এটাই একমাত্র উপায়। গত কয়েক বছর ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। তাই (ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির
শিরোপা জয়) নিঃসন্দেহে একজন খেলোয়াড়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে।”
২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরের মধ্যে মোট
১৩ বার দেওয়া হয়েছে পুরস্কারটি (কোভিডের কারণে ২০২০ সালে দেওয়া হয়নি)। এই সময়ে মেসি
জিতেছেন রেকর্ড সাতবার আর রোনালদো পেয়েছেন পাঁচবার।
মাঝে ব্যতিক্রম কেবল ২০১৮ সালে, সেবার সেরা হয়েছিলেন
লুকা মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ও ক্রোয়েশিয়াকে রাশিয়া বিশ্বকাপের
ফাইনালে তুলতে মুখ্য ভূমিকা ছিল তারকা এই মিডফিল্ডারের।