ক্যাটাগরি

মার্সেলোর ক্যারিয়ার আমার চেয়েও ভালো: কার্লোস

ক্লাব পর্যায়ে দারুণ সব সাফল্যের সঙ্গে দেশের হয়ে বিশ্বকাপও জিতেছেন কার্লোস। দীর্ঘ ১১ বছর রিয়ালের জার্সিতে মাঠ দাপানোর পর ২০০৭ সালে ক্লাবটিকে বিদায় বলেন তিনি। ওই বছরই মার্সেলো যোগ দেন সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে। কিছুদিন একে অপরকে তারা পেয়েছেন সতীর্থ হিসেবেও।

১৮ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দেওয়া মার্সেলোর বয়স এখন ৩৩। দীর্ঘ ১৫ বছরে ক্লাবটির হয়ে ৬টি লা লিগা ও ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন ২৪টি শিরোপা। স্পেনের সফলতম ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ফুটবলার তিনিই। জাতীয় দলের হয়ে ২০১৩ সালে জিতেছিলেন ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ।

অবশ্য মার্সেলো এখন আর আগের মতো নিয়মিত নন রিয়ালের একাদশে। অনেক দিন হয়েছে জায়গা হারিয়েছেন জাতীয় দলেও। চলতি মৌসুমে রিয়ালের অধিনায়ক হলেও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন কমই।

মার্কায় শনিবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রিয়ালে মার্সেলোর অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তাকে প্রশংসায় ভাসান রিয়ালের হয়ে চারটি লা লিগা ও তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কার্লোস।

“তার (মার্সেলো) ক্যারিয়ার আমার চেয়ে ভালো। সত্যিই অসাধারণ। মাঠ ও মাঠের বাইরে সে অন্যদের জন্য উদাহরণ। সে একজন নেতা। মার্সেলোর এভাবে বেড়ে ওঠা দেখে আমি খুশি। সে এখানে এবং ব্রাজিলের হয়ে যা করেছে তা দুর্দান্ত।”

“সে সবচেয়ে কঠিন কাজটি করেছে, ব্রাজিলের মতো দলের শুরুর একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড় হয়ে ওঠা। সে হয়তো বিশ্বকাপ জেতেনি, এটা সত্য। কিন্তু মাদ্রিদে যা অর্জন করেছে, তা অসাধারণ।”

আসছে জুনে শেষ হয়ে যাচ্ছে রিয়ালের সঙ্গে মার্সেলোর চুক্তির মেয়াদ। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই নতুন চুক্তির বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। অনেকেই তাই ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিতে মার্সেলো অধ্যায়ের শেষ দেখছেন। লিভারপুলের বিপক্ষে শনিবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি হতে পারে রিয়ালের হয়ে তার শেষ ম্যাচ।

ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ী কার্লোসের চাওয়া, মার্সেলো বের্নাবউয়েই থেকে যাক। মার্সেলো নিজেও তাই চান। এমনকি এ ব্যাপারে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানালেন তিনি।

“আমি সভাপতিকে ফোন করব, দেখি তিনি কী করতে চান। সবাই মার্সেলোকে ভালোবাসে এবং সে ক্লাবে থাকার জন্য সবকিছু করেছে।”