এই মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পথচলা থেমে যায় শেষ ষোলোয়। দুই লেগ মিলিয়ে ১৫০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল প্যারিসের দলটি। কিন্তু এরপরই করিম বেনজেমার ১৭ মিনিটের হ্যাটট্রিকে চুরমার হয়ে যায় তাদের শেষ আটের আশা।
রিয়ালের সেই যে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের শুরু, সেটির পুনরাবৃত্তি করে তারা কোয়ার্টার-ফাইনালে চেলসি ও সেমি-ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষেও।
প্যারিসে শনিবারের ফাইনালে তাদের সামনে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। তার আগে পচেত্তিনো বললেন, তার সমর্থন থাকবে রিয়ালের প্রতি। ব্যাখ্যা করলেন কারণটাও।
“এটা পরিষ্কার যে, আমার হৃদয়ে লিভারপুলের চেয়ে রিয়ালের জায়গা অনেক বেশি। মাদ্রিদের প্রতি আমার ভালোলাগা সেই ১৯৯৪ সাল থেকে, যখন আমি বার্সেলোনায় যাই (এস্পানিওলের খেলোয়াড় হিসেবে)। আমি ভাগ্যবান যে, আমার কোচ ছিলেন হোসে আন্তোনিও কামাচো, রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি ভালোবাসা তিনিই আমার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।”
“একজন খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে আমি কখনোই মাদ্রিদে থাকতে পারিনি, কিন্তু তাদের প্রতি আমার আবেগ স্পষ্ট।”
এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লিভারপুল হেরেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। সেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই চার ম্যাচ হেরেছে রিয়াল। কাগজে-কলমে ফাইনালে ফেভারিট ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আর্জেন্টাইন কোচ পচেত্তিনোও মনে করিয়ে দিলেন ইউরোপ সেরার মঞ্চে রিয়ালের দারুণ সব অর্জনের কথা।
“আমার মতে মাদ্রিদ ফেভারিট, কিন্তু লিভারপুল দুর্দান্ত দল। দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের দারুণ একজন কোচ আছেন, আমি তার প্রশংসা করি। তারা আগেও ফাইনালে খেলেছে এবং জিতেছে।”
“দেখা যাক কী হয়, কিন্তু মাদ্রিদই সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে, তারা বেশি ফাইনালে উঠেছে। ইতিহাস এবং শক্তির এই যুগলবন্দী তাদের সবসময় বিপজ্জনক করে তোলে।”