শুক্রবার বিকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু জানান।
তিনি জানান, এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে এবং একটি পক্ষ ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকালে নাওড়া গ্রামে মুসা মিয়ার বাবার কুলখানির অনুষ্ঠানে যোগ দেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পর ৫০ থেকে ৬০ জন লোক এসে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাড়িটি ঘিরে ইটপাটকেল ও টেটা নিক্ষেপ করে৷ এক হামলাকারীরা ৫ থেকে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি নামাজ শেষে স্থানীয় দুইজন মেম্বারসহ ৫ থেকে ৬ জন লোক নিয়ে সেই বাড়িতে কুলখানির অনুষ্ঠানে যান। কিছুক্ষণ পর বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুতে পান।
“জানালা দিয়ে দেখি বাইরে থেকে আমার দিকে ইট পাটকেল ছুড়ছে। স্থানীয় মোশারফসহ তার লোকেরা এ হামলা চালিয়েছে।”
তিনি বলেন, পুলিশ, র্যাব এসে তাকে উদ্ধার করেছে। হামলায় তিনজন আহত হয়েছে এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু বলেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যারা হামলা চালিয়েছে ইতিমধ্যে তাদের বাড়িতে অভিযান শুরু চালানো হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় মোশাররফ হোসেনের দেহরক্ষী ৫ থেকে ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। যারা যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।