রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর বাটলারকে স্তুতির এই জোয়ারে ভাসান সাঙ্গাকারা। আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শুক্রবার ৬০ বলে ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রাজস্থানকে ফাইনালে তোলেন বাটলার।
এবারের আসরে বাটলারের চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। এক আইপিএলে সবচেয়ে বেশি শতকের রেকর্ডে স্পর্শ করেন তিনি বিরাট কোহলিকে। ২০১৬ আসরে কোহলি করেছিলেন ৪ সেঞ্চুরি।
৪টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে এবার ১৬ ম্যাচে ৮২৪ রান হয়ে গেল বাটলারের। ব্যাটিং গড় ৫৮.৮৫, স্ট্রাইক রেট ১৫১.৪৭।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের আগে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও দুর্দান্ত খেলেছিলেন বাটলার। সেদিন যদিও শুরুতে ভুগছিলেন তিনি অনেকক্ষণ। তবে হাল না ছেড়ে উইকেট আঁকড়ে রাখেন। ১৬ ওভার শেষে তার রান ছিল ৩৮ বলে ৩৯। কিন্তু পরের ১৭ বলেই করে ফেলেন ৫০ রান!
শুধু ওই ম্যাচেই নয়, এবারের মৌসুমে বেশ কবারই শুরুতে একটু সময় নিয়ে পরে তাণ্ডব চালাতে দেখা গেছে বাটলারকে। ইংলিশ ব্যাটসম্যানের এই সামর্থ্যকেই তার বিশেষত্ব বলে মনে করেন সাঙ্গাকারা।
“স্পিনের বিপক্ষে সে অসাধারণ। সব শট আছে তার হাতে। নির্দিষ্ট দিনে পরিস্থিতি বুঝে সে ঠিক করে কোন শটগুলো খেলবে, কোন শট খেলা থেকে আপাতত বিরত থাকবে। তার একটি ভালো ব্যাপার হলো, যে কোনো সময় সে গতি বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩০ বলে ৩০ রান থেকে হুট করেই দেখা যাবে ৫০ বলে ৮০-৯০ রান হয়ে গেছে।”
“যে কোনো সময় সে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, হাতে সব ধরনের স্ট্রোক আছে এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, খেলাটা সে সত্যিই ভালো বোঝে। আইপিএলের ইতিহাসে কেউ এত ভালো ব্যাট করেছে কিনা, আমার মনে পড়ে না।”
আইপিএলের ইতিহাসে ভালো ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গ এলে অবশ্য বিরাট কোহলিকে মনে করতেই হবে। ২০১৬ সালে ৪ সেঞ্চুরির ওই মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করেছিলেন কোহলি। এখনও যা আইপিএলে রেকর্ড। তার গড় ছিল ৮১.০৮, স্ট্রাইক রেট ১৫২.০৩।
ওই আইপিএলে অসাধারণ ব্যাট করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নারও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শিরোপা জয়ের পথে ১৭ ম্যাচে করেছিলেন তিনি ৬০.৫৭ গড় ও ১৫১.৪২ স্ট্রাইক রেটে ৮৪৮ রান।
এবার বাটলারের রান ৮২৪, বাকি আছে তার ফাইনাল ম্যাচ। ওয়ার্নারকে ছাড়িয়ে যাওয়া খুবই সম্ভব। তবে কোহলিকে ছাড়াতে করতে হবে অসাধারণ কিছু। সেটি না পারলেও অবশ্য এই টুর্নামেন্ট স্মরনীয় হয়ে থাকবে তার।